ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কৃষকদের ৩৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাংক 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ১২ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ১৭:০৯, ১২ আগস্ট ২০২৫
কৃষকদের ৩৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাংক 

মঙ্গলবার নতুন অর্থবছরের জন্য কৃ‌ষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

চলতি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে কৃষকদের ৩৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর কৃষি ঋণের লক্ষ্য ছিল ৩৮ হাজার কোটি টাকা। 

কৃষি খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ খাতে পর্যাপ্ত ঋণ দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এবার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) নতুন অর্থবছরের জন্য কৃ‌ষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সময় কৃষি ঋণ বিভাগের কর্মকর্তাসহ বি‌ভিন্ন বা‌ণি‌জ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ২৫ হাজার ১২০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকদের সহায়তা নিশ্চিত করতে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করাই এর মূল উদ্দেশ্য।

নীতিমালায় নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে—প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ ২০ শতাংশ করা, সেচ ও কৃষিযন্ত্র খাতে বরাদ্দ ২ শতাংশ করা, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণের সিআইবি সার্ভিস চার্জ মওকুফ, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতা বৃদ্ধি; খিরা, কচুর লতি, বিটরুট, কালোজিরা, আদা, রসুন, হলুদ, খেজুর গুড় ইত্যাদি নতুন ফসল ঋণ নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং অঞ্চলভিত্তিক উৎপাদন সম্ভাবনা অনুযায়ী ঋণ বিতরণের নির্দেশনা।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৃষি ও পল্লী খাতে যথাসময়ে পর্যাপ্ত অর্থের যোগান একান্ত প্রয়োজন। দেশের কৃষিপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধিসহ সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নে এ নীতিমালা ও কর্মসূচি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়