পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন
চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন কমেছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেনের শুরু হয়। তবে, লেনদেনের প্রায় ৪০ মিনিট পর থেকে সূচকের পতন শুরু হয়। লেনদেনের শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪১.৯৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০.৯০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৪.৭৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫৬টি কোম্পানির, কমেছে ২৭৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির।
এদিন, ডিএসইতে মোট ৪৫৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৪.৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭২১ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯১.১৪ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৭.২৩ পয়েন্ট কমে ৮৮৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১০৬.৯৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৫৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫০টি কোম্পানির, কমেছে ১১৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।
সিএসইতে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক