ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নির্ভুল পাঠ্যবই নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: শিক্ষা উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ২৫ জুন ২০২৫  
নির্ভুল পাঠ্যবই নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: শিক্ষা উপদেষ্টা

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সভা কক্ষে ‘শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন’ সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠক

২০২৬ সালের ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ভুল পাঠ্যবই পৌঁছে দিতে সরকার সর্বোচ্চ অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।

তিনি বলেছেন, “পাঠ্যবইয়ের পূর্বের ভুলভ্রান্তি যেন আর না থাকে, সেই লক্ষ্যে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।”

আরো পড়ুন:

বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন’ সংক্রান্ত বিশেষ এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা নিজেই।

উপদেষ্টা বলেন, “২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ছাপা বইগুলোতে বানান ও ব্যাকরণগত ভুল, ছাপার অসঙ্গতি এবং তথ্যগত বিভ্রান্তি ধরা পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রাথমিকভাবে ১২৩টি পাঠ্যপুস্তক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পৃথকভাবে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়ার পর এনসিটিবি সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের কাজ করবে।”

উপদেষ্টা আরো বলেন, “শিক্ষা হলো বৈষম্য দূর করার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার। তাই পাঠ্যবই উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে যারা সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন, সেই শিক্ষকদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

এ লক্ষ্যে সারা দেশের শিক্ষক সমাজকে সংশ্লিষ্ট পাঠ্যবই পর্যালোচনায় অংশ নিতে আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “শিক্ষকরা নির্ধারিত ফরমে ও সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত ই-মেইলে তাদের মতামত জমা দিতে পারবেন। এনসিটিবি খুব শিগগিরই এই প্রক্রিয়া চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “শ্রেণিকক্ষের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতেই কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। সময় নিয়ে, আলোচনা করে, লাইন বাই লাইন দেখে এটি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে গণিত ও রসায়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের সর্বাধুনিক সংস্করণের ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।”

এনসিটিবির চেয়ারম্যান সভায় জানান, ইতোমধ্যে কিছু পাঠ্যপুস্তকে কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, “প্রতিটি বই রিভিউ করতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট সময় ও পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম দস্তগীর কাজী ইংরেজি পরিভাষার যথাযথ ও মানসম্পন্ন ব্যবহারের ওপর জোর দেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাঠ্যবই উন্নয়নের এই কার্যক্রমে শিক্ষক ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করা হবে।

শেষে সবার সুচিন্তিত মতামত ও বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণই ভবিষ্যতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করাবে বলে আশাবাদও ব্যক্ত করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়