এইচএসসি ও সমমানে অকৃতকার্য ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবার পাস করেছেন মাত্র ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সব শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল একযোগে প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন।
এছাড়া, বকশিবাজারে ঢাকায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য জানান।
এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন। পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। গত বছর এই পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ।
বোর্ডভিত্তিক পাসের হার
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে বেশি ৬৪.৬২ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৬১ শতাংশ হলেও কুমিল্লা বোর্ডে তা সবচেয়ে কম—মাত্র ৪৮.৮৬ শতাংশ।
অন্যান্য বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীতে পাসের হার ৫৯.৪০, যশোরে ৫০.২০, চট্টগ্রামে ৫২.৫৭, বরিশালে ৬২.৫৭, সিলেটে ৫১.৮৬, দিনাজপুরে ৫৭.৪৯ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১.৫৪ শতাংশ।
কমেছে জিপিএ–৫ প্রাপ্তির হারও
এবার জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৩ জান। এছাড়া, রাজশাহী বোর্ডে ১০ হাজার ১৩৭ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৬ হাজার ২৬০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬ হাজার ৯৭ জন, যশোর বোর্ডে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জনম, কুমিল্লা ২ হাজার ৭০৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২ হাজার ৬৮৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ হাজার ৬৭৪ জন, কারিগরি বোর্ডে ১ হাজার ৬১০ জন ও সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন।
এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুনে। গত ১৯ অগাস্ট এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। ২১ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
ঢাকা/এএএম/ইভা