ঢাকা     শনিবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আমির ও কিরণের প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১১, ৩ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৬:২৩, ৩ জুলাই ২০২১
আমির ও কিরণের প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ

বলিউড সুপারস্টার আমির খান। তাকে বলা হয় মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট। সিনেমায় সবকিছু নিখুঁতভাবে করেন বলেন তার এই তকমা। কিন্তু ব্যক্তি আমিরের জীবন মোটেও পারফেক্ট নয়।

ভালোবেসে পাশের বাড়ির মেয়ে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। রিনা ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অন্যদিকে আমির মুসলিম। পরিবার তাদের সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নেয়নি। ১৯৮৬ সালের ১৪ মার্চ আমিরের বয়স ২১। অন্যদিকে রিনার ১৯। কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন এই জুটি। রিনা ও আমিরের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনাইদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

আরো পড়ুন:

রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়।

রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আমির যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তখন কিরণের সঙ্গে তার দেখা হয়। তার আগে কোনো সম্পর্কে ছিলেন না তারা। কিরণের সঙ্গে আমির ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন। এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, ‘মানসিক অবসাদের সময়গুলোতে তার ফোন আসতো এবং আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতাম। যখন ফোন রাখতাম একরকম প্রশান্তি কাজ করত। মনে হতো তার সঙ্গে কথা বলে শান্তি পেলাম। এটিই আমার মনে দাগ কেটেছিল।’

প্রায় এক বছর লিভ টুগেদারের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই জুটি। ‘দঙ্গল’ অভিনেতা বলেন, ‘আমরা পরস্পরের সঙ্গে দেখা করতাম। বিয়ের আগে এক কিংবা দেড় বছর লিভ টুগেদারে ছিলাম। জীবনসঙ্গী হিসেবে কিরণকে ছাড়া কল্পনা করতে পারতাম না। তাকে পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করতাম।’

এদিকে ২০১৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে কিরণ রাও বলেন, ‘আমরা দু’জন অনেক ঘুরাঘুরি করতাম। রাত ২টার সময়ও আমাদের কথা হতো। ২০০৪ সালের দিকে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ বাড়তে থাকে। যে বিষয়টি আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ করেছে তা হলো পরস্পরের ভ্যালু সিস্টেম।’

অন্যদিকে আমির খান বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে শক্ত নারীদের পছন্দ করি। রিনা ও কিরণ দু’জনই অনেক শক্ত।’

শনিবার (৩ জুলাই) হঠাৎ করেই কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন আমির। এক যৌথ বিবৃতি তারা জানান, স্বামী-স্ত্রী হয়ে নয়, তবে সহযোগী এবং একে অন্যের পরিবার হিসেবে থাকবেন তারা। এছাড়া তাদের একমাত্র ছেলে আজাদ রাও খানের দেখাশোনা দু’জন মিলেই করবেন। এমনিক সিনেমা, পানি ফাউন্ডেশন এবং অন্য প্রজেক্ট— যেগুলোতে তাদের প্যাশন রয়েছে সেগুলোতেও একসঙ্গে কাজ করবেন তারা।

ঢাকা/মারুফ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়