ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আজ হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ২৯ মে ২০২৫   আপডেট: ১০:৪৬, ২৯ মে ২০২৫
আজ হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন

হুমায়ুন ফরীদি

গুণী অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে বলা যায় তিনি খলনায়ক, তিনি নায়কের অধিক। আজ এই গুণী অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্ম গ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এটিএম নুরুল ইসলাম, মায়ের নাম বেগম ফরিদা ইসলাম।

হুমায়ুন ফরীদি চার ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন  ১৯৭০ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে। ওই বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে ভর্তি হন স্নাতক করতে। পরের বছর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, পড়াশোনা ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তিনি।
 
স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক জীবন শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। এখানেই তার অভিনয় প্রতিভার বিকাশ হয়েছিল। নাট্যকার সেলিম আল দীনের কাছে নাট্যতত্ত্বে দীক্ষা নেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই সদস্যপদ পান ঢাকা থিয়েটারের। এরপরর  এই নাট্যদল থেকেই একের পর এক মঞ্চনাটক করেন হুমায়ুন ফরীদি।

আরো পড়ুন:

ঢাকা থিয়েটারের ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’, ‘কীর্তনখোলা’, ‘কেরামত মঙ্গল’-এর মতো মঞ্চনাটকে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। আদায় করে নেন  দর্শকের ভালোবাসা। 

হুমায়ুন ফরীদি অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘একাত্তরের যিশু’, ‘সন্ত্রাস’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’ ও ‘শ্যামলছায়া’ অন্যতম। বাণিজ্যিক ধারার সিনেমার খলনায়কের চরিত্র করে ব্যাপক খ্যাতি পান। ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ূন ফরীদি।

এই অভিনয়শিল্পীর বলে যাওয়া কথাগুলোও মানুষের হৃদয়ে মোটা দাগ কাটে। দার্শনিকসুলভ সেই কথাগুলো আজ একবার স্মরণ করা যাক।

১. যদি তোমার সম্পর্কে মানুষ তোমার পেছনে কিছু বলে, জেনো তুমি কিছু একটা করছ, যা ওরা করতে পারছে না। মাথায় নিয়ো না। তোমার কাজ তুমি করে যাও মন দিয়ে। জয়ী হবে।

২. মৃত্যুর মতো এতো স্নিগ্ধ, এতো গভীর, সুন্দর আর কিছু নেই। কারণ, মৃত্যু অনিবার্য। তুমি যখন জন্মেছ, তখন তোমাকে মরতেই হবে। মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় থাকলে কেউ পাপ করবে না। যেটা অনিবার্য, তাকে ভালোবাসাটাই শ্রেয়। মৃত্যুকে ভয় পাওয়াটা মূর্খতা। জ্ঞানীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো, গ্রহণ করো, বরণ করে নাও।

৩. সুখী হওয়ার একটাই উপায়, কেউ কাউকে ঠকাবেন না—অবশ্যই সুখী হবেন।

৪. কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষ নিজেই করে; আর কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষের জীবনে আসে, যেটা সে কখনোই চায় না বা আশা করে না।

ঢাকা/লিপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়