ই-কমার্সে বিনিয়োগ পেতে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে
উদ্যোক্তা/ই-কমার্স ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও ই-ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) যৌথ আয়োজনে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে `ডিরেক্ট ইনডিরেক্ট ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রসপেক্টস ইন ই-কমার্স সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার।
রোববার (৩০ মে) বিকেলে ই-ক্যাবের ইনভেস্টমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সহযোগিতায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সমন্বয়ক বিজেনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) যুগ্ম সচিব মো. আব্দুর রহিম খান। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু, ইনভেস্টমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রিয়শপের সিইও আশিকুল আলম খান, কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা মাহমুদ তৃণা। সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে আশিকুল আলম খান বলেন, ‘ই-কমার্স বাংলাদেশের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাত। গত বছর এই খাতে প্রায় ৩০০% পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিছু স্টার্টআপ এই খাতে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসলেও, বহু স্টার্টআপ তাদের আইডিয়াগুলো প্রেজেন্ট করতে না পারার কারণে বিনিয়োগ পাচ্ছে না’।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লাইট ক্যাসল পার্টনারসের সিইও জনাব বিজন ইসলাম। উপস্থাপনায় তিনি বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং তার বিপরীতে বিনিয়োগচিত্র তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ই-কমার্স নিয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ছিল, ই-কমার্স খাতে বিনিয়োগ পেতে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে প্রকৃত ও সম্ভবনাময় ই-কমার্স উদ্যোগে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন এক মাত্রা যুক্ত হতে পারে। যা হবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগের চমৎকার ক্ষেত্র। বাংলাদেশের আইনে এ সংক্রান্ত অনেক সুরক্ষা আছে। ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এন্ড প্রটেকশন আইনে স্পষ্টভাবে একজন বিদেশী উদ্যোক্তার অথবা বিনিয়োগকারীর সুরক্ষার বিষয়গুলো উল্লেখিত রয়েছে।’
মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে, উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সংক্রান্ত নথি প্রস্তুত করতে সক্ষম নন। ফলে তারা প্রয়োজন এবং সঠিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা থাকা সত্বেও তা উপস্থাপনা করতে না পারায়, বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হোন। এ কারণে ইতোমধ্যে আমরা রেডিনেস প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি’।
শমী কায়সার বলেন, ‘বাংলাদেশে ই-কমার্স যেভাবে প্রবৃদ্ধি লাভ করছে এই মুহুর্তে দেশী-বিদেশী আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা উভয়কে সহযোগিতা করার জন্য ই-ক্যাব প্রস্তুত রয়েছে। তিনি ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য ই-কমার্স আইন তৈরির কথা বলেন’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটির পরিচালক মো. আরিফুল হক, এক্সিলারিটিং এশিয়া সিঙ্গাপুরের কো-ফাউন্ডার ক্রীগ ব্রিস্টল ডিক্সন ও ই-ক্যাবের ডিরেক্টর জিয়া আশরাফসহ অনেকেই। সেমিনারটি লাইভ করেন- ই-ক্যাব ব্রান্ডিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ ছোটন।
ঢাকা/সিনথিয়া
আরো পড়ুন