ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১০ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

 বিশ্বের যে শহর হবে কার্বনমুক্ত

অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১০:৪৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 বিশ্বের যে শহর হবে কার্বনমুক্ত

সৌদি আরবের মেগাসিটি প্রকল্প নেওম। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরব তৈরি করছে ‘নেওম’ নামের স্মার্টসিটি। এটি এমন একটি শহর হতে চলেছে যেটি হবে পুরোপুরি কার্বনমুক্ত। সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ দশ লাখ মানুষ এই শহরে বসবাস করতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের সব কেন্দ্রেই বিশাল নগরকেন্দ্রিক বসতি গড়ে উঠছে। লাখ লাখ মানুষ সেখানে বসবাস করছেন। কয়েক দশক আগের তুলনায় এমন বসতির আয়োজন আগের চেয়ে তিন গুণ বড় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে এমন মেগাসিটির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে সমস্যাও বাড়ছে। 

বেনইয়ামিন সাইবেল, সিটিল্যাব বার্লিনের প্রধান বলেন, ‘শহরগুলো আসলে সমাজের কেন্দ্রীভূত ক্ষুদ্র সংস্করণ। সেখানে কম জায়গায় অনেক সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সৌদি আরবে নেওম নামের এক প্রকল্পের আওতায় একশো সত্তুর কিলোমিটার দূরত্বের শহরের চারটি কেন্দ্রস্থল যুক্ত করা হচ্ছে। সৌদি যুবরাজ এই প্রকল্পের ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চান। সেই শহর হবে পুরোপুরি কার্বণমুক্ত। স্থানীয় ও দূরপাল্লার পরিবহনের জন্য পাতাল পথে ইলেট্রিক গাড়ি ও দ্রুতগামী ট্রেন চলবে। নিজস্ব ফাইভ জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেগুলো  নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’ 

ফ্লোরিয়ান লেনার্ট, মোবিলিটি ডিরেক্টর, নেওম বলেছেন, ‘জায়গাটিতে এখনও মানুষের বসবাস এবং উন্নয়নের চিহ্ন কমন। সেখানে আমরা টেকসই অবকাঠামো গড়ে তুলবো। সেই সঙ্গে এমন অর্থনৈতিক প্রনোদনা থাকবে যার জের ধরে নতুন ধরনের পেশা এবং অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হয়।’

আরো পড়ুন:

দশ বছরে নেওম প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সেখানে প্রায় দশ লাখ মানুষ বাস করবেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এমন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যেমনটা ভাবা হয়েছিল ঠিক তেমনটা মোটেও ঘটে না। শহর মানে শুধু অবকাঠামো নয়। কোনো শহরে মানুষের বসবাসের কারণ সব সময় পরিষ্কারভাবে জানা যায় না।’ 

স্বাচ্ছন্দ্যবোধ এবং নিজেদের সামর্থ্যের জায়গায় মানুষের পছন্দ। পরিবেশবান্ধব ও  উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আরামপ্রদ পরিবহন প্রণালীও চাই। ভবিষৎয়ের শহর থেকে প্রত্যাশার মাত্রাও বেশি। 

তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে

লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়