ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পল্লীগীতির অমর কণ্ঠশিল্পীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১১:৫৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
পল্লীগীতির অমর কণ্ঠশিল্পীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

যে সব শিল্পীর দরদী কণ্ঠ শুনে এ দেশের সাধারণ মানুষ তন্ময় হয়ে যেতো, যারা পল্লীগীতি-ভাটিয়ালি গানকে জনপ্রিয়তায় এনে দিয়েছিলেন- তাদের অন্যতম একজন আবদুল আলীম।

অমর এই লোকসংগীত শিল্পীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। কালজয়ী এই শিল্পী ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাত্র ৪৩ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন। ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে শিল্পীর জন্ম।  মাত্র তেরো বছর বয়সে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়।  কিশোরকালেই গান শুনিয়ে শেরে বাংলার মন কেড়ে নিয়েছিলেন এই শিল্পী। পেশাগত জীবনে আবদুল আলীম ছিলেন ঢাকা সংগীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপক। 

‘আবদুল আলীম পশ্চিম বাংলা থেকে এসেছিলেন ঢাকায়। কিন্তু তার গলায় ছিল পূর্ব বাংলার নদীর কল্লোল। শুধু বেতারে গান শুনেই বাংলাদেশের মানুষ তাকে আত্মীয় হিসেবে গ্রহণ করেছিলো।’ আবদুল আলীমকে এই মূল্যায়ণ বরেণ্য গীতিকার অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা কামালের।

তার মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের গ্রামীণ মানুষের অন্তর থেকে উৎসারিত গানে এত দরদ আর কেউ কখনো মেশাতে পারেননি। বর্ষার উচ্ছ্বসিত পদ্মা-মেঘনা-যমুনার তরঙ্গের মতো আবদুল আলীমের ভরাট গলার স্বর শ্রোতার চৈতন্যের তটভূমিতে ভেঙে পড়ত অবিরল।’

নাইয়া রে নায়ের বাদাম তুইলা, সর্বনাশা পদ্মা নদী, হলুদিয়া পাখী, মেঘনার কূলে ঘর বাঁধিলাম, এই যে দুনিয়া, দোল দোল দুলুনি, দুয়ারে আইসাছে পালকি, কেন বা তারে সঁপে দিলাম দেহ মন প্রাণ, মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়- এসব গান সহজেই মন কেড়ে নিতো মানুষের। এসব গান আজো তাকে মনে করিয়ে দেয় আমাদের।

কণ্ঠস্বরে অসাধারণ ঐশ্বর্য্য ছিলো তার। লোকসংগীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি, দেহতত্ত্ব, মুর্শিদি, ইসলামি ইত্যাদি গানের শিল্পী হিসেবে আজো তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আবদুল আলীম সংগীতপিপাসু মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন আরো বহু যুগ।

তিনি জীবদ্দশায় ও মরণোত্তর বেশ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- একুশে পদক, পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার।

/টিপু/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়