ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কিম জং–উনের ব্যক্তিগত ট্রেনে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে

সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৫:১৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কিম জং–উনের ব্যক্তিগত ট্রেনে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে

কিম জং- উন। ছবি: কেসিএনএ

বিদেশ ভ্রমণে গেলে রাষ্ট্রপ্রধানরা সাধারণত উড়োজাহাজে চড়েন। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। তিনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য সবুজ রঙের একটি ধীরগতির ট্রেন ব্যবহার করেন। ট্রেনের চড়েই তিনি ভ্রমণ করেন বিভিন্ন দেশে। কিমের সবুজ রঙের ট্রেনটি ধীর গতির হলেও এতে বিলাসিতার নানা রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে। 

কিম জং উনের এই ট্রেনটি অন্য ট্রেন থেকে আলাদা। এই ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে 'তেইয়াংগো'। কোরিয়ান ভাষায় এর অর্থ হলো সূর্য। এই নামের মাধ্যমে প্রতীকীভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাংকেও তুলে ধরা হয়।

আরো পড়ুন:

কিম জং—উন। ছবি: সংগৃহীত

১ সেপ্টেম্বর  উত্তর কোরিয়ার রাজধানী থেকে চীনের রাজধানীর পথে রওনা হয়েছিলেন কিম জং—উন। ট্রেনটি বিশেষভাবে নকশা করা। বিশেষ নকশা করা ট্রেনটি উত্তর কোরিয়ার নেতারা কয়েক দশক ধরেই ব্যবহার করছেন। এই ট্রেনে রয়েছে আরামদায়ক শয়নকক্ষ, অফিস, বৈঠকের স্থান, খাবার, নিরাপত্তাকর্মী ও আধুনিক সব সুবিধা।

ট্রেনটি আগাগোড়া বুলেটপ্রুফ। চিন, রাশিয়া, এমনকি ভিয়েতনানেও এই ট্রেনে চড়েই সফর করেছেন কিম। যাত্রবাহী উড়োজাহাজের চেয়ে এটি অনেক বেশি নিরাপদ ও আরামদায়ক।  এতে কিমের সফরসঙ্গী, নিরাপত্তাকর্মী, খাবার ও অন্যান্য সুবিধার বন্দোবস্তও রয়েছে।  

দক্ষিণ কোরীয় বিশেষজ্ঞ আন বিয়ুং মিনের দাবি, ‘‘একটি নয়, নিরাপত্তার কারণে একই রকম অনেক ট্রেন ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ট্রেনে ১০-১৫টি বগি থাকে। তার মধ্যে কয়েকটি কিম নিজে ব্যবহার করেন, বাকি বগিগুলিতে তার নিরাপত্তারক্ষী, চিকিৎসক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের জন্য রাখা থাকে।’’

কিছু কামরা শুধু নেতার জন্য, যেমন—শয়নকক্ষ। অন্য বগিগুলোতে থাকে নিরাপত্তাকর্মী এবং চিকিৎসাকর্মীরা। বিদেশ সফরের সময় পুরো ট্রেনটিই হয়ে ওঠে কিমের প্রশাসনিক দফতর। তবে এই ট্রেন নিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার ঝামেলাও আছে। কারণ সব দেশের ট্রেনের লাইনের মাপতো এক নয়। ২০২৩ সালে রাশিয়া সফরের সময় সীমান্ত স্ট্রেশনে ট্রেনের চাকা বদলাতে হয়েছিলো। 

২০০৯ সালের নভেম্বরে রক্ষণশীল দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদপত্র চোসুন ইলবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল , ‘‘এই সবুজ ট্রেনে প্রায় ৯০টি গাড়ি আছে। ট্রেনটিতে কনফারেন্স রুম, দর্শকদের চেম্বার এবং বেডরুম, স্যাটেলাইট ফোন এবং ফ্ল্যাট-স্ক্রিনের টেলিভিশনও রয়েছে ব্রিফিং এর জন্য।’’

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়