ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

জনস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য বেশি হুমকিস্বরূপ ‘ই-সিগারেট’ নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, উন্নত জাতি গঠনে স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর স্বাস্থ্যরক্ষায় তামাক ও তামাকজাত পণ্য বর্জনের বিকল্প নেই। ই-সিগারেট চাতুরতার সাথে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের কারণে তরুণ প্রজন্ম এর শিকার হবার সম্ভাবনা বেশি, যা জাতির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এজন্য এটি নিষিদ্ধ করা উচিত।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে তামাকজাত নব্যপণ্য ব্যবহার রোধে আয়োজিত ‘ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট ও বাংলাদেশ: বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত এটি নিষিদ্ধ করেছে। এদেশে এটি বন্ধের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা হবে। প্রদর্শিত উপাত্ত অনুযায়ী ২০১৭ সালে দেশে ই-সিগারেট ব্যবহারীর সংখ্যা ২ লাখ ছিল, যা এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা এক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হবে বলে মতপ্রকাশ করেন মন্ত্রী।

ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। কবিতায় কুঁড়েঘর আছে, বাস্তবে নেই। খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। সন্ধ্যায় একমুঠো বাসি ভাত আর কেউ চায় না। আকাশ থেকে হাতিরঝিল দেখলে মনে হয় ইউরোপের কোনো শহরে এসেছি।

উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের মানবিকভাবে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়োজন মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের বিকাশ। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলেই সঠিক পথে এগুনো সম্ভব।

এ সময় শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে তার স্মৃতি গভীর মমতায় স্মরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপা নেতা ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারি এমপি।

অন্যান্যের মধ্যে আয়োজক সংস্থা ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকোর মহাসচিব ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, এপিডেমিওলজি অ্যান্ড  রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হার্ট ফাউন্ডেশনের এন্টি-টোব্যাকো প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার বিষয়ভিত্তিক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।


ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়