ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ডা. কামরুলের হাতে ১৩০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন আজ

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০২, ১৫ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ১২:০৭, ১৫ মার্চ ২০২৩
ডা. কামরুলের হাতে ১৩০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন আজ

অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম (ফাইল ফটো)

প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম আজ ১৩০০ তম কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক গড়তে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সহস্রাধিক কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন এই বিশেষজ্ঞ। যার জন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেননি।   

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১টায় এই চিকিৎসক ১৩০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন করবেন বলে জানা গেছে। সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম  রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ দুপুর ১টায় ১৩০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন, যেনো মানুষের সেবায় এরকম কাজ সবসময় সফলভাবে করতে পারি। 

২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর ডা. কামরুল ১২০০তম রোগীর সফল কিডনি প্রতিস্থাপন করেন। তার আগের বছর ২০২১ সালে অধ্যাপক কামরুল বিনা পারিশ্রমিকে এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেন। তবে প্রচারবিমূখ এই চিকিৎসকের এসব জনহিতকর কাজের খবর সারাদেশের মানুষ জানতে পারেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসার পর। জানা গেছে, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি প্রথম সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করেন। তার এই কাজের সাফল্যের হার শতকরা ৯৫ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক মানের।

অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৯৮২ সালে তখনকার সারা দেশের ৮টি মেডিক‌্যাল কলেজের সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি। ঢাকা মেডিক‌্যালে পড়াশোনা শেষে তিনি উচ্চশিক্ষাগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস অব এডিনবার্গ থেকে।

অধ্যাপক ডা. কামরুল ১৯৯৩ সালে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। প্রথমবারের মতো সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ করেন ২০০৭ সালে। ২০১১ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে প্রতিষ্ঠা করেন সিকেডি হাসপাতাল। সেই থেকে কিডনি রোগীদের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এই চিকিৎসক।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ডা. কামরুলের বাবা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বাবা আমিনুল ইসলাম ঈশ্বরদীর পাকশী ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত ছিলেন। যুদ্ধকালীন তিনি প্রত্যক্ষভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার কারণে স্থানীয় রাজাকার বাহিনী ও বিহারীরা অধ্যাপক ডা. কামরুলের বাবাকে হত্যা করে।

মেসবাহ/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়