ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কমলালেবু বিক্রেতার পদ্মশ্রী লাভের গল্প

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ২৭ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কমলালেবু বিক্রেতার পদ্মশ্রী লাভের গল্প

নিজের সামান্য রোজগারের কিছু কিছু অংশ জমিয়ে ২০০০ সালে একটি স্কুল স্থাপন করেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে ঋণ নিয়ে স্কুলের জন্য কিনে ফেলেন জমি। 

পেশায় তিনি কমলালেবু বিক্রেতা (Orange Seller Won Padma Shri)। ২০২০ সালের পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকায় রয়েছে তার নাম। এক ভারতীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা পারভীন কাসওয়ান জানিয়েছেন, ৬৮ বছরের হারেকালা হাজাব্বা একটি রেশন দোকানে দাঁড়িয়ে থাকার সময় খবরটি পান। জানতে পারেন দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।  

পারভীন কাসওয়ান একটি টুইটে জানান, ‘হারেকালা হাজাব্বা একটি রেশন দোকানের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই কর্তৃপক্ষ তাকে খবরটা জানান। জানিয়ে দেন তিনি পদ্মশ্রী পেয়েছেন।’

পোস্টে তিনি আরো জানান, ‘দক্ষিণ কন্নড়ের এই ফল বিক্রেতা তার গ্রাম নিউপাদাপুতে। দরিদ্র শিশুদের পড়াচ্ছেন গত এক দশক ধরে এক মসজিদে।’ 

বিবিসির সূত্রে জানা গেছে, যে গ্রামে হাজাব্বা থাকেন সেখানে একটিও স্কুল ছিল না। নিজের সামান্য রোজগারের টাকা জমিয়ে ২০০০ সালে একটি স্কুল স্থাপন করেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে ঋণ নিয়ে স্কুলের জন্য জমি কিনে ফেলেন হাজাব্বা।

কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? হাজাব্বা জানাচ্ছেন, ‘এক বিদেশি দম্পতি আমাকে কমলালেবুর দাম জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। আমি টুলু ও বিয়ারি ছানা কোনো ভাষা জানি না। তারা চলে গেলেন। আমার খুব খারাপ লাগল। এবং ঠিক করি অন্তত আমার গ্রামের বাচ্চাদের যেন এমন সমস্যায় পড়তে না হয়। আমি বুঝতে পারি, যোগাযোগ একজনের জীবনে কীভাবে প্রগতি আনতে পারে। এবং মানুষকে জুড়তেও পারে।’

সামাজিক মাধ্যমে তিনি পরিচিত পেয়েছেন ‘অক্ষর সান্তা’ অর্থাৎ অক্ষরের সাধু নামে। তার এখন আশা, এবার সরকার তার গ্রামে একটি কলেজ করে দেবেন।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

 

ঢাকা/সাইফ/নাসিম 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়