ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শিনজিয়াংয়ে বাবা-মা ছাড়া বেড়ে উঠছে হাজার হাজার উইঘুর শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২০, ১৬ অক্টোবর ২০২০  
শিনজিয়াংয়ে বাবা-মা ছাড়া বেড়ে উঠছে হাজার হাজার উইঘুর শিশু

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে বাবা-মাবিহীন বেড়ে উঠছে হাজার হাজার উইঘুর শিশু। এসব শিশুদের বাবা কিংবা মা কিংবা উভয়কে বন্দিশিবিরে আটক রাখা হয়েছে। শিনজিয়াংয়ের সরকারি নথি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শিনজিংয়ায়ের দক্ষিণাঞ্চলের কর্মকর্তাদের সংগৃহীত নথি বিশ্লেষণ করে গবেষক আদ্রিয়ান জেনজ জানিয়েছেন, ইয়ার্কান্দ জেলায় ২০১৮ সালে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি শিশুকে ‘একক কষ্ট’ বা ‘দ্বৈত কষ্ট’- এর অভিজ্ঞতার মধ্যে যাচ্ছে বলে চিহ্নিত করা হয়। কারো বাবা কিংবা মা কিংবা উভয়কে আটক রাখার ভিত্তিতে এই শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছিল।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের অনলাইন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত নথিগুলো ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে ডাউনলোড করা হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, সব শিশুরই অন্তত এক জন অভিভাবক  কারাগারে, আটককেন্দ্রে কিংবা ‘কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রে’ আটক রয়েছেন। শিশুদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে এতিমখানা কিংবা কড়া নিরাপত্তার বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে তাদের ওপর কড়া নজরদারি চালানো হয়। তাদেরকে মাতৃভাষা উইঘুর নয় বরং ম্যান্দারিনে শিক্ষা দেওয়া হয়।

জেনজ বলেন, ‘শিনজিয়াংয়ের সংখ্যলঘুদের দমনের জন্য বেইজিংয়ের অন্তর্বর্তী কৌশল এখন দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক নিয়ন্ত্রণের দিকে সরে গেছে। এই প্রচেষ্টার সর্বাগ্রে রয়েছে আগামী প্রজন্মের হৃদয় ও মনের মধ্যে যুদ্ধ।’

শিনজিয়াংয়ে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমকে তথাকথিত কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রে আটক রাখা হয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের সংস্কৃতি মুছে ফেলতে চীন নিপীড়নের এই প্রক্রিয়া বেছে নিয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

জেনজের গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট আট লাখ ৮০ হাজার ৫০০ শিশু বোর্ডিং স্কুলে রয়েছে। এদের মধ্যে নানা কারণে অন্যান্য কারণে বাবা-মা না থাকা শিশুরাও রয়েছে। বোর্ডিং স্কুলে থাকা শিশুদের এই সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৭৬ শতাংশ বেশি।  

অর্থনীতি বিষয়ক সাময়িকী ইকোনোমিস্টের হিসেবে, ইয়ার্কান্দ জেলার শিশুদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পুরো শিনজিয়াংয়ে ১৫ বছরের নিচের শিশুদের বাবা কিংবা মা কিংবা উভয়েই বন্দিশিবিরে আটক রয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়