ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পাকিস্তানে কাগজ সঙ্কট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ২৪ জুন ২০২২  
পাকিস্তানে কাগজ সঙ্কট

কাগজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। এর ফলে দেশটিতে আগস্টে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বই ছাপানো যাবে না বলে সতর্ক করেছে দেশটির পেপার অ্যাসোসিয়েশন।

 বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি কাগজ সঙ্কটের অন্যথম কারণ হলেও পাকিস্তানে বর্তমান কাগজের পরিস্থিতির পেছনে সরকারের ভুল নীতি এবং স্থানীয় কাগজ শিল্পের একচেটিয়া আধিপত্য হচ্ছে মূল কারণ।

অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিন্টিং গ্রাফিক আর্ট ইন্ডাস্ট্রি (পিএপিজিএআই) ও কাগজ শিল্পের সাথে যুক্ত অন্যান্য সংস্থা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ ড. কায়সার বাঙ্গালির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কাগজ সঙ্কটের কারণে আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের কাছে বই পাওয়া যাবে না।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশে কাগজের তীব্র সঙ্কট চলছে, কাগজের দাম আকাশচুম্বী এবং দিন দিন এর দাম বাড়ছে। এর ফলে প্রকাশকরা বইয়ের দাম নির্ধারণ করতে পারছে না। এ কারণে সিন্ধু, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ড পাঠ্যপুস্তক ছাপতে পারবে না।

এদিকে, পাকিস্তানি কলামিস্ট আয়াজ আমির তার নিবন্ধে দেশের ‘অযোগ্য ও ব্যর্থ শাসকদের’ কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, দেশ যখন আগের ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণ নেওয়ার দুষ্ট চক্রে আটকা পড়েছে তখন তারা কীভাবে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করবেন।

পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দুনিয়া ডেইলিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আইয়ুব খান , ইয়াহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং মুহাম্মদ জিয়া-উল-হকের নিয়ম দেখেছি। স্বৈরশাসক এবং তাদের সবার মধ্যে একটি জিনিসে মিল ছিল-সমস্যা সমাধানের জন্য ঋণ নেওয়া এবং তারপরে আগের ঋণ পরিশোধের জন্য আরও ঋণ নেওয়া।’

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মন্দার প্রধান কারণ হচ্ছে দেশটি চীন, সৌদি আরব ও কাতার থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়েছে। এর পাশাপাশি দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ৩০ বছরে ১৩ বার ঋণ নিয়েছে। অধিকাংশ ঋণ কর্মসূচি ঋণের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়