লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ২ জন নিহত
গত বছরের নভেম্বরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ হত্যা করছে। এক প্রতিবেদনে সিনহুয়া নিউজ এমনটাই জানিয়েছে।
চীনের বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েল অনেকটা নিয়মিতভাবেই দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ লেবাননের মাহরুনা শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুই জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র সিনহুয়াকে জানায়, মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, এতে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়িতে থাকা এক নারীও নিহত হন এবং তার স্বামী আহত হন।
সূত্রটি মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিকে মাহরুনার হিজবুল্লাহ সদস্য আব্বাস ওয়াহবি হিসেবে শনাক্ত করেছে। ওই নারী দক্ষিণ লেবাননের জাওয়ায়া গ্রামের বাসিন্দা বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
লেবাননের সরকারি জাতীয় সংবাদ সংস্থা ড্রোন হামলা এবং হতাহতের ঘটনা উভয়ই নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও এ ধরনের হামলা ঘটনা ঘটছে, যুদ্ধবিরতি ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর রয়েছে। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত সংঘর্ষের অবসান ঘটানোর জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর হুমকি দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে লেবাননে প্রায়ই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার এক ভাষণে হিজবুল্লাহ মহাসচিব নাইম কাসেম বলেছেন, হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী সম্পূর্ণরূপে মেনে চলেছে, একই সঙ্গে ইসরায়েলকে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও করেছেন।
তিনি বলেন, “দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের চলমান লঙ্ঘন অগ্রহণযোগ্য এবং এর জবাব দেওয়া হবে।”
তিনি ভবিষ্যতে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের মুখোমুখি হওয়ার জন্য গোষ্ঠীর প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে, হুমকি বা বহিরাগত চাপের কাছে হিজবুল্লাহ দমে যাবে না।
ঢাকা/ফিরোজ