গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির উদ্যোগে কাজ করছে মিসর
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলআত্তি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে কাজ করছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলআত্তি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং অবরুদ্ধ গাজায় দ্রুত ত্রাণ সরবরাহের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই চুক্তিতে। খবর আনাদোলুর।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় অনটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা একটি স্থায়ী সমাধান এবং টেকসই যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি জানান, এই প্রস্তাবটি মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগের ফল এবং এটিকে একটি ‘প্রথম পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপ নিতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে আলোচনার টেবিলে যা রয়েছে তা হলো- ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, যার বিনিময়ে কিছু সংখ্যক ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং চিকিৎসা সরঞ্জামসহ গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।”
তিনি আরো বলেন, “এই পদক্ষেপটি একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসর হওয়ার গতি তৈরি করবে এবং শেষ পর্যন্ত ১৯ জানুয়ারি চুক্তির বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।”
আবদেলআত্তি বলেন, “যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য আসন্ন যেকোনো চুক্তিতে গ্যারান্টি অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি আমেরিকান দৃষ্টিভঙ্গি ও বোধগম্যতা রয়েছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, “(ইসরায়েলি) আগ্রাসন পুনরায় শুরু হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি তৈরি হবে।”
এর আগে, গত ১৯ জানুয়ারি মিসর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে তিন-ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যামূলক যুদ্ধের অবসান ঘটানো।
তবে গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজায় পুনরায় হামলা শুরু করার পর চুক্তিটি ভেঙে যায়।
যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজার বিরুদ্ধে নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৬,৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ