ঢাকা     শনিবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া নিয়ে উত্তর কোরিয়ার কড়া বার্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৫:৪৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া নিয়ে উত্তর কোরিয়ার কড়া বার্তা

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার আসন্ন যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘বিপজ্জনক’ ও ‘শক্তির বেপরোয়া প্রদর্শন’ বলে অভিহিত করেছেন। 

একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেছেন, দেশগুলোর জন্য এটি ‘খারাপ পরিণতি’ বয়ে আনবে। খবর আল-জাজিরার।

আরো পড়ুন:

দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্ররা যৌথ নৌ, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করার একদিন আগে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কিম ইয়ো জং-এর এই মন্তব্য প্রকাশ করেছে।

আগামীকাল সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের কাছে ‘ফ্রিডম এজ’ নামে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

উত্তর কোরিয়ার শাসক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-বিভাগীয় পরিচালক কিম ইয়ো জং এই মহড়াকে ‘বিপজ্জনক ভাবনা’ বলে সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই বেপরোয়া শক্তি প্রদর্শন ভুল জায়গায় করা হচ্ছে, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত ঘেঁষে। এটা তাদের জন্য খারাপ পরিণতি ডেকে আনবে।”

এই সতর্কবার্তা এমন সময়ে এল, যখন কিম জং উন অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র সফরে গিয়ে ঘোষণা দেন, উত্তর কোরিয়া একসঙ্গে পারমাণবিক ও প্রচলিত অস্ত্র শক্তি বৃদ্ধির নীতি অব্যাহত রাখবে।

উত্তর কোরিয়া বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়াকে আগ্রাসনের প্রস্তুতি হিসেবে দেখে আসছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ত্রিপক্ষীয় মহড়া ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া আগামী সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে তাদের প্রচলিত এবং পারমাণবিক ক্ষমতা একীভূত করার জন্য ‘আয়রন মেস’ টেবিলটপ মহড়া আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।

‘আয়রন মেস’ হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের অধীনে প্রথম এই ধরনের মহড়া। উভয় নেতাই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পুনরায় আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা পাক জং চোন রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-এর মাধ্যমে পৃথক একটি সতর্ক বার্তায় বলেছেন, “যদি ‘শত্রু শক্তি’ এই যৌথ মহড়ার মাধ্যমে তাদের শক্তির গর্ব করতে থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়া ‘আরো স্পষ্টভাবে ও দৃঢ়ভাবে’ পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।”

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে, তারা কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবে না। দেশটি নিজেকে একটি ‘অনড়’ পারমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কিম জং উন আরো সাহসী হয়ে উঠেছেন। হাজার হাজার উত্তর কোরীয় সৈন্যকে মস্কোর পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য পাঠিয়ে রাশিয়ার কাছ থেবকে তিনি কৌশলগত সমর্থন নিশ্চিত করেছেন।

গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন উত্তর কোরিয়া সফর করেন, তখন মস্কো ও পিয়ংইয়ং একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে।

ঢাকা/ফিরোজ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়