ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ১ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ১৫:০৮, ১ অক্টোবর ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন

ইন্দোনেশিয়ায় একটি স্কুল ভবন ধসে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অন্তত ৯১ জন আটকা রয়েছেন বলে সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজের সংখ্যা ৩৮ বলে জানিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ আপটেডে ধ্বংস্তুপের নিচে ৯১ জন আটকা রয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে। 

আরো পড়ুন:

সংস্থাটি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে কমপক্ষে ছয়জন এখনও জীবিত আছেন, যেখানে তারা প্রায় দুই দিন ধরে আটকা পড়ে আছেন।

বিএনপিবি ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেছে, “জীবিতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য গর্ত ও খোলা জায়গা খনন করে ম্যানুয়ালি উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে আরো ধস নামতে পারে।”

সংস্থাটি জানিয়েছে, “যৌথ (অনুসন্ধান ও উদ্ধার) দল ধসের একটি অংশে এখনও ছয়জনের জীবিত থাকার চিহ্ন সনাক্ত করেছে। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উদ্ধারকারীরা কংক্রিটের ফাঁক দিয়ে খাবার ও পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।”

সরকারি তথ্যানুযায়ী, স্কুল ভবন ধসের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এই পরিসংখ্যানে এখনও আটকে থাকা লোকদের গণনা করা হয়নি।

আহতদের মধ্যে ৭০ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৬ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো এলাকায় অবস্থিত আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের নামাজঘর গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হঠাৎ ভেঙে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসরের নামাজ পড়ছিল।

প্রায় কয়েকশো উদ্ধারকর্মী, পুলিশ ও সেনা সদস্য উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে উদ্ধার অভিযানে এখনও ভারী যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। 

বিএনপিবি জানিয়েছে, “যদি মূল্যায়নে দেখা যায় যে আর কেউ বেঁচে নেই, তাহলে পরবর্তী ধাপে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধারের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে।” 

প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, যে পুরোনো ভবনটিতে শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়ছিল সেটি মূলত দুই তলা ছিল। তবে বেআইনিভাবে আরো দুটি তলা যোগ করার কাজ চলছিল। সেই বাড়তি কংক্রিটের চাপ সামলাতে না পেরে ভবনটি ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় স্কুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্প্রসারণের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় এটি দ্বিতীয় ভবন ধসের ঘটনা। কর্মকর্তাদের মতে, এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জাভার বোগোর জেলায় একটি ইসলামিক কমিউনিটি হল ধসে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়