জাতিসংঘকে ২০০ কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ২০০ কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসন বড় ধরনের বিদেশি সহায়তা হ্রাস করার পর নতুন এই ঘোষণা দিলো।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদেশি সহায়তার ব্যয় কমিয়ে দেন। পাশাপাশি জার্মানির মতো শীর্ষস্থানীয় পশ্চিমা দাতারাও তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির দিকে ঝুঁকে পড়ায় সহায়তা কমিয়েছে- যা জাতিসংঘের জন্য একটি বড় ধরনের তহবিল সংকট তৈরি করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই কর্মকর্তা বলেন, মানবিক সহায়তার জন্য জাতিসংঘকে ২০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এই অর্থ কীভাবে বরাদ্দ করা হবে বা আরো কোনো প্রতিশ্রুতি আসবে কি না- সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মোট মানবিক সহায়তা কমে প্রায় ৩৩৮ কোটি ডলারে নেমে আসে, যা বিশ্বব্যাপী মোট সহায়তার প্রায় ১৪.৮ শতাংশ। এটি গত বছরের ১৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার এবং ২০২২ সালের সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ২০০ কোটি ডলারের তুলনায় অনেক কম।
ঝুঁকিতে থাকা ৮৭ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছাতে ডিসেম্বরের শুরুতে জাতিসংঘ ২০২৬ সালের জন্য দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সহায়তা আবেদন উত্থাপন করেছে, যা ২০২৫ সালের জন্য চাওয়া চার হাজার ৭০০ কোটি ডলারের অর্ধেক। এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও দাতাদের সহায়তা কমে যাওয়ার চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেছেন, জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বর্তমানে ব্যাপক চাপে রয়েছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় অর্থায়ন খুবই কম। যার অর্থ হলো, সবচেয়ে প্রয়োজনীয়দের অগ্রাধিকার দিতে কিছু ‘কঠোর সিদ্ধান্ত’ নিতে হচ্ছে।
ঢাকা/ফিরোজ