এরফান ও তার দেহরক্ষীর চার মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) চার মামলার এজাহার আদালতে আসে। 

দুইজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক দুই অস্ত্র মামলার এজাহার গ্রহণ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী। চকবাজার থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ১৭ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। 
মাদকের পৃথক দুই মামলায়ও এজাহার গ্রহণ করে আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আগামী ৩ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। 

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। 

ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। 

এ সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।

এরপর বুধবার র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।