ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পরীমনিকে রিমান্ড: দুই বিচারকের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ৩১ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৩:৩৩, ৩১ অক্টোবর ২০২১
পরীমনিকে রিমান্ড: দুই বিচারকের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

পরীমনি। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর বনানী থানার মাদক মামলায় পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

রোববার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেছেন তারা। দুপুরের পর এ বিষয়ে শুনানি হবে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় তাদের পুনরায় লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো এ দুই ম্যাজিস্ট্রেটের দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, লিখিত ব্যাখ্যায় তারা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত। ওই দিন তারা আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পরীমনির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার সব নথি ও মামলার কেস ডকেটও তলব করা হয়।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওইদিন এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন।

গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বারবার নেওয়া রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনে পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব।  এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।  রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট দাখিল হওয়া পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন কারামুক্ত হন পরীমনি।

গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন-পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো.কবীর হাওলাদার।

চার্জশিট দাখিলের পর গত ১০ অক্টোবর পরীমনি ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। গত ২৫ অক্টোবর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকেও জামিন নেন পরীমনি। আগামী ১৫ নভেম্বর মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য রয়েছে।

মামুন/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়