ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ, জামিন শুনানি ৩১ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩২, ২২ মার্চ ২০২২   আপডেট: ১২:৪০, ২২ মার্চ ২০২২
সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ, জামিন শুনানি ৩১ মার্চ

আদালত প্রাঙ্গণে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ছবি: মামুন খান

অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।

আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে হাজির করা হয়েছে সম্রাটকে

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত সম্রাটের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

গত ৭ মার্চ সম্রাটের আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করেন।  আদালত চার্জশিট গ্রহণ ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।  এদিন আদালত সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। আগামী ৩১ মার্চ চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানি এবং জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করে দেন আদালত।

সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘মামলাটি চার্জশিট গ্রহণ এবং ইতিপূর্বে দাখিলকৃত জামিন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। আদালত এদিন সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দিয়েছেন।  সেখানে ৩১ মার্চ চার্জ শুনানি এবং জামিন শুনানির দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।’

এর আগে এদিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।

গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা সম্রাটকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারি করেন আদালত।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন।  অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।  পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

/মামুন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়