রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে জুলাই যোদ্ধারা, শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। ছবি: রায়হান হোসেন।
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় শুনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এসেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা। তারা আশা করছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি আদেশ দেবেন ট্রাইব্যুনাল। দ্রুত ভারত থেকে তাকে এনে রায় কার্যকর করার দাবিও জানান তারা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্টাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আসেন তারা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মোট পাঁচটি অভিযোগে করা এ মামলার রায় কিছুক্ষণের মধ্যে ঘোষণা করবেন। মামলার রায় ঘোষণার আগে আদালত কক্ষে কয়েকশত মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। এর মধ্যে আইনজীবী, জুলাই আন্দোলনকারী এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং গণমাধ্যম কর্মীরা রয়েছেন।
এছাড়া, সকালেই ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এসেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমানের মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীসহ আরো অনেক জুলাই যোদ্ধা।
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রত্যাশা করেন জানিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মীর স্নিগ্ধ বলেন, “অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড আমরা আশা করছি এবং শেখ হাসিনা যেই অন্যায় করেছেন, সেই অন্যায়ের ফলে তাঁকে শুধু একবার না, হাজারবার মৃত্যুদণ্ড দিলেও সেটি কম হয়ে যাবে।” শেখ হাসিনাকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার দাবিও জানান তিনি।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক।
এদিন সকাল ৯টা ১০-এর পর কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী।
ঢাকা/রায়হান/ইভা