দাদা-দাদির সঙ্গে সন্তানের মনোমালিন্য?
ঝুমকি বসু || রাইজিংবিডি.কম
প্রতীকী ছবি
ঝুমকি বসু : জাহিদ আর শিখার একমাত্র মেয়ে জিনিয়া। দাদির সঙ্গে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারে না ও।
দাদি ডালপুরি বানিয়ে খেতে দিলে ফিগার সচেতন জিনিয়া খাবে শশা। বন্ধুদের বাসায় এনে দাওয়াত দিতে বললে ও তাতে আগ্রহী নয়। আড্ডা দেওয়ার জন্য ওর বাইরে কোথাও পছন্দ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিনিয়ার মোবাইল ফোনে কথা বলা বা ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকা দাদির একদম পছন্দ নয়।
জাহিদ আর শিখা মেয়েকে বকাবকি করলেও প্রজন্মের ব্যবধান বলে মেনে নিয়েছে। কিন্তু তার বিষয়গুলো একেবারেই মানতে চান না দাদি। ফলে কোনোদিন জিনিয়ার পোশাক নিয়ে, আবার কোনোদিন টিভি দেখা নিয়ে বেঁধে যায় অশান্তি। একদিকে মেয়ের মুখ ভার আর অন্যদিকে শাশুড়ির।
জামানের বাবা-মা বেড়াতে এসেছেন গ্রামের বাড়ি থেকে। মাঝে মধ্যেই আসেন তারা। কিন্তু যখনই আসেন তখনই নাতি-নাতনির সঙ্গে সমস্যা শুরু হয়। এমন এমন সব কারণে সমস্যা বাঁধে যে জামানের স্ত্রী মিতার সব কিছু সামলাতে বেশ মুশকিল হয়। বুঝতে পারে না কাকে ছেড়ে কাকে বোঝাবে।
এই প্রজন্মের ব্যবধান রোধ করতে বৌমা এবং মা হিসেবে আপনাকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। কীভাবে সেটা সম্ভব এবার না-হয় সেটাই দেখা যাক।
* সন্তানকে ছোট থেকেই বোঝান তার কার্টুন দেখার মতো দাদার খেলা দেখা বা দাদির নাটক দেখাটাও জরুরি।
* কখনোই সন্তানের সামনে দাদা-দাদির সমালোচনা করবেন না।
* কিছুটা সময় বাসায় সবাই একসঙ্গে বসে গল্প করুন।
* আপনার স্বামীকে বলুন তার বাবা-মায়ের সম্পর্কে নানা মজার গল্প সন্তানের কাছে বলতে। তাতে ওরা দাদা-দাদির অনেক মজার কথা জানতে পারবে।
* শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে প্রজন্মের ব্যবধানটা বুঝিয়ে বলুন।
* আপনার সন্তানেরা স্কুল-কলেজ থেকে ফিরলে দাদিকে বলুন স্কুলে সারাদিন কী কী ঘটলো তা নিয়ে গল্প করতে। এতে করে ওদের সম্পর্ক সহজ হবে।
* প্রতিটি পরিবারের কিছু ট্র্যাডিশন থাকে। আপনার শ্বাশুড়িকে বলুন ছোটবেলা থেকে সেগুলো নিয়ে গল্প করতে। তাতে এগুলো সন্তানের মনে গেঁথে যাবে।
এসব বিষয় অনুসরণ করলে আশা করি কমে আসবে সন্তানের সঙ্গে আপনার শ্বশুর-শাশুড়ির জেনারেশন গ্যাপ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জানুয়ারি ২০১৭/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন