ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

হঠাৎ আপনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে কী করবেন?

মুজাহিদ বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ১৩ জুন ২০২৩   আপডেট: ১২:৫৩, ২৯ জুন ২০২৩
হঠাৎ আপনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে কী করবেন?

‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা’ অনেকের কাছেই আতঙ্কের। কোর্ট মামলা হাজতবাস নানান ঝামেলা। অনেকের নামে মামলা থাকে। হঠাৎ শুনলেন- পুলিশ আপনাকে খুঁজছে? বা আপনার নামে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা- তখন কী করবেন?

এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা।

এই আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যার নামেই হোক, সেই ব্যক্তি এবং তার পরিবার কিন্তু দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। শুরুতে আমাদের করণীয় হলো প্রথমে যাচাই করতে হবে আসলেই তথ্যটি সঠিক কিনা। অর্থাৎ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে কিনা।’

‘বাসার দাড়োয়ান বা প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব যদি জানায়, পুলিশ এসে আপনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আপনি কখন বাসায় আসেন, কখন বাইরে যান এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছে- তখন সত্যতা জানার জন্য আমরা অনেকেই থানায় যাই। এ ক্ষেত্রে নিজে না গিয়ে পরিবারের কেউ বা বন্ধুবান্ধব থানায় পাঠিয়ে খোঁজ নিতে হবে আসলে অপরাধটা কী? কেন আপনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বা কে অভিযোগ করেছে?’

আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘এরপর দ্বিতীয় কাজ হলো পরোয়ানার কপি সংগ্রহ করতে হবে। যিনি থানায় খোঁজ নিতে যাবেন তার অধিকার আছে কপি সংগ্রহ করার। সে চাইলে পুলিশ তাকে কপি দেবে। এরপর আপনার যে স্থায়ী ঠিকানা সেখান থেকে কিছুদিন দূরে থাকতে হবে এবং সিচুয়েশন বুঝতে হবে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অপরাধটা কি সাধারণ না কি জটিল সেটা বুঝতে হবে। আপনি যদি ধরা দেন তবে হাজতে গিয়ে কোর্ট থেকে ছাড়া পেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যেটা করবেন হাইকোর্টে এসে আগাম জামিন নেবেন। হাইকোর্ট আপনাকে ৪ সপ্তাহ কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে ৮ সপ্তাহ আগাম জামিন দিতে পারে। আপনাকে নির্দেশনা দেয়া হবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর (চার বা আট সপ্তাহ) আপনি কোর্টে গিয়ে সারেন্ডার করবেন। এরপর আপনি অবশ্যই নিম্ন আদালতে গিয়ে সারেন্ডার করবেন।’

‘আগাম জামিনের ক্ষমতা হাইকোর্টের বিশেষ ক্ষমতা যেটা অন্য কোর্টের নেই। এরপর একজন ভালো আইনজীবী ধরে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিংবা যে আপনার নামে মামলা করেছে বাদীর সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করে নিতে পারবেন।’ বলেন এই আইনজীবী। 

যারা নিয়মিত মামলার আসামি নন; হঠাৎ করে কারো নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে দুশ্চিন্তায় না পড়ে ধীরে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাহলে ভুল করার আশঙ্কা থাকবে না। প্যানিকড হলে ভুল করার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শান্ত//

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়