ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন দেশে প্রয়োজন নেই: তথ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  
ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন দেশে প্রয়োজন নেই: তথ্যমন্ত্রী

ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন দেশে প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, যেসব অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে সেসব অনলাইন তো দরকার নেই।  ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন দেশে প্রয়োজন নেই।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধে আদালতের নির্দেশনাকে সহায়ক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যার যেমন ইচ্ছে একটি অনলাইন খুলে বসবে এবং সেটি নিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, কোন ব্যবসায়িক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কখনোই সমীচীন নয়। সেক্ষেত্রে আদালতের এ আদেশ অবশ্যই একটি সহায়ক আদেশ। 

৭ দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যেগুলো রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত, সেগুলো ছাড়া আর কোনো অনলাইন ভবিষ্যতে বের হবে না, তেমন নিয়মতো নেই।

‘আদালতকে আমরা জানাবো, ৭ দিনের মধ্যে সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না। অনেকগুলো বন্ধ করবো, আদালতকে জানাবো, আসলে কি প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে,’ বলেন মন্ত্রী।

কিছু গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে-জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আবেদনের পর যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই।  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো তদন্তকারী সংস্থাকে দেয়। সেটি শেষ করে না আসা পর্যন্ত আমরা দিতে পারি না। এ কারণেই সময় লাগছে। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতের লিখিত কপি পাওয়ার পর যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই কিছু অনলাইন বন্ধ করবো। তবে ভবিষ্যতেও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে। আমরা আদালতের কাছে সে বিষয়টি উপস্থাপন করবো। কিছু অনলাইন আমরা বন্ধ করবো। ইতোমধ্যে কিছু বন্ধও করা হয়েছে।

‘সেই সঙ্গে আমরা আদালতের নজরে এটিও আনবো, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেটিও কতটুকুক সমীচীন, সেটিও ভাবার বিষয়। সেজন্য আমরা আদালতের নজরে আনবো,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।

যেভাবে অনলাইনের নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে একইভাবে ইউটিউব বা আইপিটিভি নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এখনো কাউকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।  আমরা আশা করেছিলাম গত মাস থেকে দিতে পারবো।  কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় আমরা দিতে পারিনি। ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি করার যে সুযোগ রয়েছে এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।  যে সমস্ত আইপিটিভি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং নিজেকে টেলিভিশন চ্যানেলের মতো জাহির করছে খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। 

নঈমুদ্দীন/এসবি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়