নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু আগামীকাল
শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
তিন বছরের বেশি সময় পর শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (১২ জুন)। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, যাত্রী পারাপার শুরু হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন পণ্যের আমদানিকারকরা। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে তারা ভারতে গিয়ে পণ্যের মান যাছাই শেষে এ বন্দর দিয়ে আরও বেশি পণ্য আমদানি করতে পারবেন। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের উত্তর অঞ্চল তথা ময়মনসিংহ বিভাগসহ আশেপাশের অনেক জেলার পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং রোগীরা নাকুগাঁও বন্দর দিয়ে কম খরচে অল্প সময়ের মধ্যে ভারতে যেতে পারতেন। তবে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় অনেককেই কষ্ট করে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ অন্য বন্দর দিয়ে ভারতে যেতে হচ্ছিল। এতে তাদের খরচ যেমন বেড়েছিল ঠিক তেমনি নষ্ট হতো অনেক মূল্যবান সময়। নাকুগাঁও স্থলবন্দর খুলে দেওয়ার কারণে এখন ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষরা খুব সহজে চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা ভ্রমণের জন্য এখন ভারত যেতে পারবেন।
নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে নাকুগাঁও স্থল বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার এবং সব প্রকার পণ্যের আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে পাথর, কয়লা আমদানি শুরু হলেও বন্ধই থেকে যায় যাত্রী পারাপার। দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় পর এই বন্দর দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী পারাপারা শুরু করতে যাচ্ছে নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন। এতে বৃদ্ধি পাবে সরকারের রাজস্ব।
বিভিন্ন পণ্যের আমদানিকারক আশিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. সিদ্দিক মিয়া বলেন, দীর্ঘ সময় ভারতে যাতায়াত বন্ধ থাকায় ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হিসাব নিকাশের একটা ঝামেলা তৈরি হয়েছে। এখন আমরা সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবো এবং ব্যবসার প্রসার ঘটবে।
ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভারতে যাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে মেঘালয়ের ঢালু ইমিগ্রেশনের চিঠি হাতে পেয়েছি। তাই যে কোনো পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা এই বন্দর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। আগামীকাল সোমবার কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যাত্রী পারাপারা চূড়ান্তভাবে শুরু হবে।
তারিকুল/ মাসুদ