ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ভিন্ন চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২০, ১৩ মে ২০২১  
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ভিন্ন চিত্র

ঈদ মানেই আনন্দ। সেই আনন্দের অংশীদার হতে নাড়ির টানে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ ছুটে যান গ্রামে। রাজধানী থেকে নদীপথে বিভিন্ন রুটে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। তাই ঈদ আসলেই এ টার্মিনালের ওপর বাড়তি চাপ পড়তো মানুষের। সেই চাপ সামলাতে হিমশিম খেতো টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ।

প্রায় সপ্তাহখানেক ধরেই থাকতো বাড়তি মানুষের চাপ। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন।  যে সদরঘাটজুড়ে থাকতো অসংখ্য মানুষের কোলাহল, সেখানে এখন কয়েকটি রিকশা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি।  প্রতিটা টার্মিনালের গেটে তালা দেওয়া। দেখা মেলেনি টার্মিনালের স্টাফদেরও। একদিকে সরকারি ছুটি, অন্যদিকে লকডাউনের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। সে কারণে হকারদেরও টার্মিনালে দেখা যায়নি। অন্য সময় মালবাহী ছোট ছোট লঞ্চ ঘাটে ভিড়লেও বৃহস্পতিবার সে দৃশ্য চোখে পড়েনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সবগুলো লঞ্চই বুড়িগঙ্গা নদীতে নোঙর করা। বিশাল লঞ্চ টার্মিনাল পড়ে আছে ফাঁকা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

টার্মিনালের ভিতরের মতো বাইরের দৃশ্যও একই। নেই সিএনজি কিংবা অন্যসব যানবাহনের জট।  চারপাশের সড়কগুলো একেবারেই ফাঁকা।

এদিকে, রাজপথজুড়ে যখন নানা ছোট-বড় যানবাহনে মানুষ ছুটছে বাড়ির পানে, তখন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল একেবারেই নীরব। সেই রুট দিয়ে লঞ্চ ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য একমাত্র ভরসা লঞ্চ।  তবে ছোট ছোট নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত কিছু নৌযানকে বুড়িগঙ্গায় চলতে দেখা যায়।

জানা যায়, প্রায় ৮০/৮৫ টি লঞ্চ বুড়িগঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে রাখা হয়েছে।  এসব লঞ্চের স্টাফরা বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। কোনো কোনো লঞ্চের স্টাফরা বেতন-ভাতা পেলেও অধিকাংশ স্টাফরা তা পাননি বলে জানা গেছে।

সদরঘাট নৌথানার কর্মকর্তা ইমান হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে কোনো লঞ্চই সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি কিংবা কোনো অঞ্চল থেকে ঢাকায়ও আসেনি।

টার্মিনালে দায়িত্ব পালনরত আনসার সদস্য রুহুল আমিন জানান, ‘এক একটি বড় লঞ্চে ২৫/৩০ জন স্টাফ থাকেন। তাদের অধিকাংশই এখন বেকার। প্রতিদিন শত শত যাত্রী নিয়ে এসব লঞ্চ যাতায়াত করতো। লকডাউনের কারণে এক মাসের অধিক সময় ধরে টার্মিনালের সবকিছু বন্ধ রয়েছে।’

মামুন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়