ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

‘সংবিধান লঙ্ঘন নয়, নির্বাচন সুন্দর করতেই ইসির নির্দেশনা’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩  
‘সংবিধান লঙ্ঘন নয়, নির্বাচন সুন্দর করতেই ইসির নির্দেশনা’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা সংবিধান দেখেই সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচনে যাতে ব্যাঘাত না হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন, এটাই আমরা বুঝি। তার (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যেটা মনে করেছেন, আমি মনে করি সেটা যথার্থই মনে করেছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে যাতে নির্বাচন হয়, আমার মনে হয় এজন্যই নির্দেশনাটা দিয়েছেন।

নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর থেকে ভোটের আগে পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়া সংক্রান্ত ইসির নির্দেশনার বিষয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি সংবিধান পরিপন্থি কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা তো অতি সাধারণ বিষয়। একটা বিশেষ সময়, একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি দল যার যার প্রার্থী নিয়ে তাদের প্রচার-প্রচারণা করবে, সেই সময় এই দল-সেই দল মুখোমুখি হতেই পারে যাতায়াতের পথে। সেখানে যদি আবার আরেকটা নতুন দল নির্বাচন ছাড়া অন্য কথা বলে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে ব্যাঘাত হতেই পারে। সঠিক, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন হতে দেওয়ার জন্য উনি (সিইসি) যা যা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো করবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এ নির্দেশনা সংবিধান পরিপন্থি মনে করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা যখন একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, তারা তো সংবিধান দেখেই দিয়েছেন। এখানে সংবিধান লঙ্ঘন হওয়ার কিছু নেই, এখানে তো নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা তিনি জানেন।

‘নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে...আমি মনে করি সংবিধান ভালোভাবে জেনে, সেটা দেখেশুনেই তারা নির্দেশনাটা দিয়েছেন। এখানে সংবিধান লঙ্ঘনের কিছু হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আপনি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও ভালো ব্যাখ্যা নিতে পারেন।’

এবার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি বেশি হতে পারে মনে করছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মোটেই অবনতি হবে না। অবনতির জন্য প্রচেষ্টা চলছে, সেটাও আপনারা দেখছেন। জায়গায় জায়গায় বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে, জায়গায় জায়গায় রেললাইন উঠিয়ে দিচ্ছে। সেখানে এগুলোকে স্বাভাবিক করার জন্য নির্বাচন কমিশন তাদের দৃষ্টিতে যেটা মনে হয়েছে সেটা তারা ঘোষণা দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কি আপনারা মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেবেন- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, নির্দেশনা পালনের জন্য যাদের দায়িত্ব, আমার মনে হয় চিঠি অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

১৮ ডিসেম্বরের পর বিএনপি যাতে সভা-সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য কি এ সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এটা আপনারা নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞাসা করবেন। নির্বাচন কমিশন তো স্পষ্টই বুঝতে পারছে, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে না এসে ধ্বংসের খেলায় নেমেছে। সেই জায়গাটিতে যাতে ধ্বংস করতে না পারে, নির্বাচন জাতীয় সুষ্ঠুভাবে হয়; এদেশের জনগণ যাতে সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে। আমার মনে হয়, সেজন্য এ ঘটনা ঘটছে।

এর আগে, ১২ ডিসেম্বর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ দিয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
 

নঈমুদ্দীন/এনএইচ

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়