ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

আলোচনা সভায় দলটির নেতারা

বিএনপিই ভরসা, হাজার বছর টিকে থাকবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৯ মে ২০২৪  
বিএনপিই ভরসা, হাজার বছর টিকে থাকবে

বিএনপিই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভরসা। বিএনপি আগামী হাজার বছর টিকে থাকবে বলে মনে করেন দলটির নেতারা। বুধবার (২৯ মে) দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় দলটির নেতারা এও বলেন, ‘এই সরকার টিকে থাকবে না, এই সরকারের পতন অনিবার্য।’ তবে এক্ষেত্রে তারা তরুণ নেতাকর্মীদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন।

রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ‘গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনকে জোরদার করতে সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান’ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।

লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আলোচনা সভায় বক্তাদের বক্তব্য শোনেন। আলোচনা সভায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ফখরুল বলেন, ‘‘এই যে আত্মত্যাগ, মায়ের যে অশ্রুধারা এটা কি বিফলে যাবে? আপনারা কি সেটা বিফলে যেতে দেবেন? এখন জেগে উঠবার সময় এসেছে। জেগে উঠবে সেই তরুণ-যুবক। কবি নজরুল ইসলাম তার কবিতায় বলেছেন, ‘কে আছো জোয়ান হও আগোয়ান, হাকিছে ভবিষ্যৎ।’ আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সব ভয়-ভীতি তাচ্ছিল্য করে আমাদের দেশমাতৃকার ডাকে, আমাদের মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবার লক্ষ্যে ও তার ডাকে, আমাদের নেতা তারেক রহমানের ডাকে… আসুন, আমরা সবাই বেরিয়ে পড়ি। আমরা এমন একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলি যে, ভয়াবহ দানব আমাদের সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে। তাদেরকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের রাষ্ট্র, গণতন্ত্রের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে সক্ষম হই।”

জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অভিহিত করে, তার যুগান্তকারী কর্মকাণ্ডেরর কথা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

স্থায়ী কমিটিরে সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই আওয়ামী লীগকে লাইসেন্স দিয়েছিলেন রাজনীতি করার। আর সেই লাইসেন্স নিয়ে আজকে ম্যালা কথা বলছে। কার সম্পর্কে ওই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে, কার সম্পর্কে খালেদা জিয়ার সম্পর্কে, কার সম্পর্কে তারেক রহমানের সম্পর্কে। তারা ভেবেছিল— জিয়াউর রহমানকে হত্যা করলে বিএনপি আর থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি আছে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হাল ধরেছেন, বিএনপি টিকে আছে। এখন তারেক রহমান হাল ধরেছেন, বিএনপি টিকে থাকবে হাজার বছর, ইনশাল্লাহ। এই দলকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। আর এই দল ধ্বংস করার কেউ নেই। এই দল না থাকা মানে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিদেশি প্রভুদের কাছে বিকিয়ে দেওয়া। সুতরাং, বিএনপিকে টিকে থাকতে হবে, বিএনপির প্রতিটি কর্মীকে টিকে থাকবে, এদেশের মানুষকে টিকে থাকতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেক হতাশ… আওয়ামী লীগ বোধহয় টিকেই গেলো। ভাইরে, এই চোরদের দল, যেখানে সেনাপ্রধান, পুলিশপ্রধান চোর, দুর্নীতিবাজ… এদের সরকার যদি টিকে থাকে, তাহলে সভ্যতার ইতিহাস, প্রগতির ইতিহাস মিথ্যে হয়ে যাবে। অতএব, নিচিন্ত থাকুন বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র ভরসা। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শধারী সেই পতাকা বহন করে, আমরা ইনশাল্লাহ ক্ষমতায় যাবো। খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা এদেশকে মুক্ত করতে চাই, দুর্নীতিবাজ-দুর্বত্তদের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকেন।’ 

দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এমএ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়