ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পাঁচ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের গণ‌মি‌ছিল

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ২১:০৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাঁচ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের গণ‌মি‌ছিল

বৃহস্পতিবার ঢাকায় খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানী‌তে গণ‌মি‌ছিল ক‌রে‌ছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা মিছিলটি বের ক‌রেন। মি‌ছিল‌টি প্রেস ক্লাব ঘু‌রে বায়তুল মোকারররম গি‌য়ে শেষ হয়।

আরো পড়ুন:

মিছিলোত্তর সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন রাজী।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছি‌লেন দ‌লের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।

বিশেষ অতিথি ছি‌লেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি।

উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দীকি, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল আজিজ, খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আল আবিদ শাকির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এহসানুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, গাজীপুর মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী নিজাম উদ্দিন ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ডাক্টার আলা আমিন রাকিব ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ নোমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আমিনসহ প্রমুখ।

মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, “রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ঘোষণার মাধ্যমে অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।”

তিনি বলেন, “হাজার হাজার ছাত্র–জনতার রক্তের বিনিময়ে সংঘটিত জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে। যারা আগামী সংসদের জন্য জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ঠেলে দিতে চায়, তারা আসলে রাজনৈতিক সুবিধার খোঁজ করছে। এখনই দেশের ও জনগণের কল্যাণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য। এছাড়া কোনো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না।”

পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না মন্তব‌্য ক‌রে মাওলানা জালাল ব‌লেন, “সংসদে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হলে দেশে স্থায়ী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। বর্তমান পদ্ধতিতে ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট দলের হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়ে, যা ইনসাফ ও জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি। প্রকৃত রাজনৈতিক বিকাশ ঘটাতে ও সংসদকে জাতির কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তর করতে হলে উচ্চকক্ষে পিআরের কোনো বিকল্প নেই।”

তি‌নি ব‌লেন, “অবিলম্বে আওয়ামী লীগের দোসর ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। পলাতক আওয়ামী লীগ তাদের ঘাড়ে ভর করে পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশের সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা রক্ষায় এদের নিষিদ্ধ করা অপরিহার্য।”

আতাউল্লাহ আমীন বলেন, “সরকার একটি বড় দলের স্বার্থে সবকিছু করার চেষ্টা করছে। অথচ দলের পরিচয়ে জুলাই শহীদরা রক্ত দেননি। তারা বাংলাদেশ পরিচয়ে অসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়