ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ, জেলের মুখে হাসি

তারেকুর রহমান, কক্সবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১০, ২৪ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৭:৪০, ২৪ জুলাই ২০২২
ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ, জেলের মুখে হাসি

সাগরে মাছ ধরার ওপর থাকা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কক্সবাজারের জেলেরা। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। এছাড়াও জেলেদের জালে ধরা পড়ছে সুরমা, লাল পোয়া, রূপচাঁদাসহ নানা প্রজাতির মাছ। 

এদিকে সাগরে প্রথম দিন ৭ ঘণ্টা মাছ ধরে উপকূলে ফিরে এসেছে অনেক ট্রলার। এসব ট্রলারে কাজ করা জেলেরা জানান, তারা এক জালেই ৩ হাজার পিস ইলিশ পেয়েছেন। সামনের দিনগুলোতেও এভাবে মাছ পাওয়ার আশা করছেন জেলেরা। 

শহরের নুনিয়ারছড়া ফিশারি ঘাটের এফবি আল্লাহর দান ফিশিং বোটের জেলে জালাল উদ্দিন রোববার (২৪ জুলাই) বলেন, 'শনিবার রাত ১২টার পরে সাগরে গিয়ে মাছ ধরতে শুরু করি। দুই মাস পর সাগারে গিয়ে মাছ ধরেছি। অনেক মাছ পেয়েছি। অনেক খুশি লাগছে।'

এফবি শাহরিয়া নামের ফিশিং ট্রলারের মাঝি হুময়ায়ূন কাদের বলেন, 'সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আশা করেছিলাম বেশি মাছ পাবো। অবশেষে তাই হয়েছে। গত রাতে সাগরে গেলাম। জাল তুলে দেখি ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। দেখে অনেক খুশি হলাম। পরিবারের টাকা পাঠাতে পারবো তাই আরো বেশি খুশি লাগছে।'

এদিকে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেলেদের পাশাপাশি মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যেও কর্ম ব্যস্ততার শেষ নেই। চাহিদা মতো মাছ কিনে বড় আড়তে পাঠানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। 

ফিশারি ঘাটের ব্যবসায়ী সৈয়দ হোসাইন বলেন, ‘ইলিশের সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন দামে আমরা মাছ কিনছি। তবে ছোট সাইজের মাছ নেই। বড় সাইজের মাছ দেখা যাচ্ছে। এগুলো কেজিতে ১১০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত ক্রয় করছি। মণ হিসেবে ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার। আর গণনা করে নিলে ১০০ ইলিশের দাম ১৬ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকায় ক্রয় করছি আমরা। বেশি মাছ পাওয়া গেলে দাম একটু কমবে।’

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার পরে জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অনেক ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গেছে। তারা কাঙ্খিত পরিমাণ মাছও পেয়েছে। তাদের মাঝে খুশি বিরাজ করছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরায় সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার করণে সাগরে মাছের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে অনেকদিন পর সাগরে জাল ফেলে বেশি মাছ পাওয়া যায়। আশা রাখি সামনের দিনগুলোতে বেশি পরিমাণে মাছ পাবেন জেলেরা।'

এদিকে অনেক জেলে অভিযোগ করে জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই অনেকে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যান। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করে মাছ নিয়ে তারা নিষেধাজ্ঞার শেষের দিনে তীরে ফিরে এসেছে। 

সরকারি হিসেব অনুযায়ী কক্সবাজারে জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৯৩ জন। বোট মালিক সমিতি বলছে, ৩ লাখের বেশি মানুষ মৎস্য পেশায় জড়িত।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়