টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
স্থূলতা ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী। কিন্তু স্থূল নন এমন মানুষেরও হতে পারে টাইপ ২ ডায়াবেটিস। অনেকে স্থূলতা কমানোর জন্য কিটো ডায়েট করেন। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘ডায়েট করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি না হয়। কেউ কেউ খুব কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ওজন কমাতে চান, এতে ওজন কমানো সম্ভব না। বরং দীর্ঘদিন এভাবে ডায়েট করলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।’’
'ডায়াবেটিস ইউকে'-র তথ্য বলছে, নিরামিষ খাবার খাওয়া, ভিগান ডায়েট এবং খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমানো টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। শুধু তাই নয়, এই জাতীয় ডায়েট অন্য কড়া ডায়েট মেনে চলার চেয়ে সহজ। এই ধরনের খাবার উচ্চ ফাইবারযুক্ত এবং সেখানে গ্লাইসেমিক সূচকও (লো-জিআই) কম থাকে, তাই সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী।
যে সমস্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট কিছু খাবারের সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমার সম্পর্ক রয়েছে।
ফল এবং সবজি
২০১২ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টাইপ -২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে মূলযুক্ত শাক-সব্জি এবং সবুজ শাক-সব্জির যোগ রয়েছে। ২০১৩ সালের এক অন্য এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কয়েকটা নির্দিষ্ট ফল ওই ঝুঁকি কমাতে পারে। এই তালিকায় শীর্ষে আছে ব্লুবেরি, আঙ্গুর এবং আপেল।
আস্ত শস্য
ডায়েটে আস্ত শস্যজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়ালে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে তিন ধরনের গোটা শস্য (প্রায় ৪৫ গ্রাম) খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২০% কমে যেতে পারে।
দই এবং পনির
প্রতিদিন দুগ্ধজাত খাবার খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৫% কমতে পারে। কম চর্বিযুক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে ওই ঝুঁকি ১০% হ্রাস করা যেতে পারে। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ‘‘নিয়মিত দই খেলে ওই ঝুঁকি ১৪% কমে যায়।’’
মিষ্টি ছাড়া চা এবং কফি
একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কফি পান করেন (ক্যাফিনেটেড বা ডিক্যাফ), তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন চা পান করেন (ব্ল্যাক টি বা গ্রিন টি), তাদেরও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম।
সূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি