ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এক বছরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি গণটিকা কার্যক্রম

মেসবাহ য়াযাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২২:১৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এক বছরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি গণটিকা কার্যক্রম

ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশে চলমান গণটিকা কার্যকমের এক বছর পূর্ণ হলো আজ (৭ ফেব্রুয়ারি)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাবি করছে, অনেক সীমাবদ্ধতার পরও বিশাল জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হয়েছে, এটা বড় সাফল্য। তবে, ভাসমান লোকজন এবং বাদ পড়াদের টিকার আওতায় আনাকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ পরিকল্পনা না থাকায় গণটিকা কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি।

গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকা কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথমে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ কার্যক্রম শুরু করলেও ক্রমেই তা সম্প্রসারিত হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে এর আওতায় এসেছে ১২ বছর বয়সী নাগরিকরাও। এ মুহূর্তে চলছে ভাসমান জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে এক বছরে করোনা টিকার অন্তত এক ডোজ নিয়েছেন ৯ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাড়ে ৬ কোটি মানুষ। এরইমধ্যে তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) টিকা নিয়েছেন প্রায় ২১ লাখ মানুষ।

গণটিকা কার্যক্রমের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক বলেছেন, ‘একটি বছর করোনার টিকার বিষয়ে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, ভ্যাকসিনের জন্য টাকা দিয়েও সময়মতো তা পাওয়া, এরকম অনেক বাধা প্রথমদিকে ছিল। ধীরে ধীরে আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠেছি।’

তবে, টিকাদান কর্মসূচিতে যতটা সক্ষমতা আছে, বাংলাদেশ তার পুরোটা কাজে লাগাতে পারেনি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, টিকা সংগ্রহ ও শ্রেণি নির্বাচনে ছিল অদক্ষতার ছাপ। এখনো তৈরি করা যায়নি নিজস্ব উৎপাদন ব্যবস্থা, যা এ কার্যক্রমকে লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেছেন, ‘টিকা সংগ্রহ, টিকাদান, অগ্রাধিকার নির্বাচন, নিজস্ব গবেষণা, সামর্থ্য তৈরি এবং উৎপাদনের সামর্থ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিজের প্ল্যান্টে উৎপাদন করা—এসব বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সফল হইনি। এক বছরে প্রায় ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ এবং সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এটি আসলে আমাদের সামর্থ্যের তুলনায় অনেক কম।’

এদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৬ লাখ মানুষকে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বুস্টার ডোজসহ সবাইকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শেষ হবে। টিকা নেওয়ার যোগ্যদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৮২ শতাংশ মানুষকে তা দেওয়া হয়েছে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে।

মেয়া/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়