ওয়ালটনকে হাই-টেক পার্ক ঘোষণা
অগাস্টিন সুজন || রাইজিংবিডি.কম
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বেসরকারি হাই-টেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওয়ালটনকে ৩ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। ওই জমিতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) সেন্টার স্থাপন করবে ওয়ালটন।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২০) বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এন এম সফিকুল ইসলাম, পরিচালক (কারিগরি) ফাহমিদা আক্তার, ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রকিউরমেন্ট) মো. মাহফুজুল কবীর, ওয়ালটন ল্যাপটপ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী লিয়াকত আলীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওয়ালটনকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় একটি নাম। ওয়ালটন বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে আসায় অন্য কোম্পানিগুলো উৎসাহিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এই মুহূর্তে ৫টি হাই-টেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ৩৫৫ একর জমিতে বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করছে। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন হাই-টেক পার্কে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ২০১৬ সাল থেকেই হাই-টেক পার্কগুলো আয় শুরু করেছে। পাশাপাশি ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ১১০টিরও বেশি স্টার্টআপ ও বড় কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করেছে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চট্টগ্রামে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফন্টিয়ার টেকনোলজি এবং ১১টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
ওয়ালটন কারখানাকে হাই-টেক পার্ক ঘোষণা দেয়ায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এস এম মঞ্জুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘যেসব ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিপণ্য বাংলাদেশে তৈরি করার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারেননি, আমরা সেগুলো তৈরি করছি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশে তৈরি বিশ্বমানের ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবে ওয়ালটন। পাশাপাশি এখানে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) প্রকল্পও স্থাপন করা হবে।’
ঢাকা/ফিরোজ
আরো পড়ুন