ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

‘পারফরম্যান্স মূল্যায়নে তিন ম্যাচ যথেষ্ট নয়’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ২২ অক্টোবর ২০২০  
‘পারফরম্যান্স মূল্যায়নে তিন ম্যাচ যথেষ্ট নয়’

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপকে আপনি কীভাবে দেখছেন? খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করছেন? এই প্রতিযোগিতার পারফরম্যান্স কি দল গঠনে মূল্যায়ন করবেন? 

জাতীয় দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের আদ্যোপান্ত নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ যা জানালেন, তাতে মনে হচ্ছে এ প্রতিযোগিতার পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না তিনি। বরং প্রত্যেক ম্যাচকেই তিনি দেখছেন অনুশীলনের অংশ হিসেবে।  

ডমিঙ্গোর ভাষ্যে, ‘আমি মনে করি এ ধরনের ম্যাচ দিয়ে একজনকে বিচার করা খুব কঠিন। এমন একজনকে আমরা বিচার করছি, যে সাত মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিল। এসে মাত্র তিন ম্যাচ খেলেছে। আরেকটি বিষয়, নিজেদের মধ্যে দল ভাগ করে খেলা হচ্ছে। এটাকে আমি ট্রেনিংয়ের অংশই মনে করি। আমার কাছে ম্যাচ জয় কিংবা টুর্নামেন্ট জয় বড় কোনও বিষয় নয়। মূল বিষয় খেলোয়াড়রা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে।’ 

তবুও তরুণদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত কোচ। লেগ স্পিনার রিশাদ, পেসার শরীফুল, ওপেনার ইমন, প্রথমবার দেখা ইরফান শুক্কুরকে মনে ধরেছে কোচের। সামনে তাদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি। 

নতুনদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও ডমিঙ্গোর পুরোনো শিষ্যরা অনেকেই ছন্দ হারিয়েছেন। সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাশ, মোহাম্মদ মিথুন, নাজমুল হোসেন শান্ত পুরো টুর্নামেন্টে ছিলেন ফ্লপ। লিটন ৪ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৪৩ রান। সমান ম্যাচে সৌম্য ২ রান বেশি করেছেন। শান্ত ও মিথুন করেছেন যথাক্রমে ৩৭ ও ৩৫ রান। এছাড়া প্রথমবার দেখা সাব্বির রহমান ৪ ম্যাচে ৩৯, এনামুল হক বিজয় ৪৫ রান করেন। 

ব্যাটসম্যানরা খারাপ করলেও তাদের সমালোচনা না করে সমর্থন জুগিয়েছেন ডমিঙ্গো, ‘আমি খুশি। খেলোয়াড়রা টুর্নামেন্টকে ঘিরে নিজেদের নিবেদন ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আপনারা দেখবেন খেলোয়াড়রা কীভাবে মাঠে অনুশীলন করেছে। হ্যাঁ, রান পেলে অবশ্যই ভালো হতো। কিন্তু বিবেচনায় আনতে হবে তারা সাত মাস প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিল। কেউ কেউ মাত্র সপ্তাহখানেক আগে যোগ দিয়েছে।’ 

ডমিঙ্গো আরও যোগ করেছেন, ‘কোচ হিসেবে আমি নিশ্চিত করতে চাই, তারা পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে। অনুশীলনের থেকেও ম্যাচ খেলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ম্যাচগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। এজন্য শেষ ম্যাচে ওরা ভুগেছে। তরুণরা অনেকে ভালো করেছে। আবার সিনিয়ররা যেমন- মুশফিক, রিয়াদ ও তামিম রান পেয়েছে। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তারা আবার ক্রিকেটে ফিরেছে।’

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়