ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মাহমুদউল্লাহ জেতালেন গাজী গ্রুপকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ২ জুন ২০২১   আপডেট: ০৭:৪১, ৩ জুন ২০২১
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মাহমুদউল্লাহ জেতালেন গাজী গ্রুপকে

প্রথমে বল হাতে ২ উইকেট। পরে ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ফিফটি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সব পেলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জয়ে ফিরেছে গাজী গ্রুপ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে হেরেছিল তারা। অন্যদিকে জিতে প্রতিযোগিতা শুরু করা শেখ জামাল দ্বিতীয় ম্যাচে পেলো পরাজয়ের স্বাদ।

মিরপুর শের-ই-বাংলায় শেখ জামালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ। আগে ব্যাটিং করে শেখ জামাল ৭ উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৭ বল আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে গাজী গ্রুপ।

দলের জয়ের নায়ক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। প্রথমে বল হাতে ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। পরে লক্ষ্যে নেমে ৫১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬২ রান। তাতে জয় নিশ্চিত হয় গাজী গ্রুপের। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ৯৭ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট দলপতি ৩৬ বলে ৮ চারে করেন ৫৪ রান, টি-টোয়েন্টি যা তার দশম হাফ সেঞ্চুরি।

ওপেনিংয়ে শাহাদাত হোসেন দিপু (১৩) ও সৌম্য সরকার (১৩) সাজঘরে ফিরলে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও মুমিনুল। ফিফটির পর মুমিনুল উইকেট বিলিয়ে আসেন। সালাউদ্দিন শাকিলকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন। জয়ের জন্য বাকি পথ পাড়ি দেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকির হাসান।

শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান আট বোলার ব্যবহার করলেও কেউ গাজী গ্রুপের জয় আটকাতে পারেননি। স্পিনার এনামুল দুটি ও শাকিল এক উইকেট নেন।

এর আগে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৪১ ও সৈকত আলীর ৩৩ রানে লড়াকু পুঁজি পায় শেখ জামাল। ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে আশরাফুল ছিলেন চিরচেনা মহিমায়। কিন্তু পয়েন্টে যখন ক্যাচ দেন, তখন তার নামের পাশে রান ৩৫ বলে ৪১। স্কোরবোর্ড স্পষ্ট করছে আশরাফুলের ব্যাটিং ছিল গড়পড়তা। ডট বলে সমারোহ। তবে যে ৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তা মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৬৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাদের সাজঘরে ফেরার পর ব্যাট হাতে লড়াই করেন নাসির হোসেন ও জিয়াউর। নাসির ২০ ও জিয়াউর ২১ রান করেন। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।

ছক্কায় রানের খাতা খুলেছিলেন আশরাফুল। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বল দারুণ ফ্লিকে ফাইন লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান তিনি। চতুর্থ ওভারে বাঁহাতি পেসার নাহিদ হাসানকে ছক্কায় উড়ান দুবার। প্রথমটি পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে। পরেরটি লং লেগ দিয়ে। এরপর স্পিনার নাসুমকে সুইপ করে ছক্কা উড়িয়ে মুগ্ধ করেন আশরাফুল।

ওই ৪ ছক্কা বাদে ইনিংসে ছিল না প্রাণ। স্ট্রাইক রোটেট করতে সমস্যা হচ্ছিল। শট খেলতে পারছিলেন না। তাতে ডট বল হচ্ছিল। বাড়ছিল চাপ। সেই চাপ কমাতে গিয়ে বাড়তি শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। তাতেই তিনি আটকে যান। আরিফুলের বল উইকেট থেকে সরে গিয়ে শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে তালুবন্দি হন আশরাফুল।

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়