শিরোপা হাতছাড়া হলেও টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
মুখে চিরচেনা হাসিটা নেই। একফোঁটা আনন্দও নেই। এক আসর পর আবার বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতলেন, কিন্তু মলিন তার মুখ। কেন-ই বা হবে না? ১ রানে ফাইনাল হার কোনোভাবে কি মেনে নেওয়া যায়? সাকিব আল হাসান মানতে পারলেন না। পারলেন না বলেই চোখে-মুখে বিষন্নতা ফুটে উঠলো প্রবলভাবে। টুর্নামেন্টে জুড়ে হাসলো তার ব্যাট। বল হাতেও পেলেন উইকেট। কিন্তু ফাইনাল মঞ্চে শিরোপা হাতছাড়া তার।
ব্যাট-বল হাতে দোর্দণ্ড প্রতাপে সাকিবের ঘরেই গেল টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
সব মিলিয়ে বিপিএলের আট আসরে চারবার এই পুরস্কার পেলেন সাকিব। এবার গাড়ি বা মোটরবাইক নেই। পুরস্কার হিসেবে সাকিব পেয়েছেন ২ হাজার ডলার।
ফাইনালের আগে ১০ ম্যাচে সাকিবের রান ছিল ২৭৭ রান। বল হাতে তার শিকার ১৫ উইকেট। শুক্রবারের ফাইনালে ৩০ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি বরিশালের অধিনায়ক। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে তার রান ২৮৪, উইকেট ১৬টি।
সাকিব টুর্নামেন্ট সেরা হবে তা অনুমিতই ছিল। তাকে টক্কর দেওয়ার মতো নিকট দূরত্বেও কেউ ছিলেন না। বিশেষ করে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সাকিব পুরো টুর্নামেন্টে ছিলেন দুর্বার। টানা ৫ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। তাতে টুর্নামেন্ট সেরা হলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার।
ব্যক্তিগত অর্জন কখনোই স্পর্শ করে না সাকিবকে। দল শিরোপা না পাওয়ায় খুশি নন তিনি। টুর্নামেন্ট সেরার অর্জন তাই ম্লান তার কাছে। নিজ মুখে বললেন,‘ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য ভালো টুর্নামেন্ট গেছে। কিন্তু ম্যান অব দ্য সিরিজের পরিবর্তে আমি শিরোপা উচিয়ে ধরতে পছন্দ করতাম।’
ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আলাদা আলাদা নজর কেড়েছেন অনেকেই। চট্টগ্রামের উইল জ্যাকস ১১ ম্যাচে ৪১৪ রান করেছেন। খুলনার আন্দ্রে ফ্লেচার সমান ম্যাচে করেছেন ৪১০ রান। ঢাকার তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪০৭ রান। কুমিল্লাকে ফাইনালে তোলা ফাফ ডু প্লেসি করেছেন ২৯৫ রান। বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিংয়ে করেছেন ২৫৫ রান। আরেক ফাইনালিস্ট বরিশালের ডোয়াইন ব্রাভো ব্যাট হাতে ১২০ রান করলেও ১৮ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে উজ্জ্বল। ১৯ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে সবার ওপরে রয়েছেন কুমিল্লার মোস্তাফিজুর রহমান।
বিপিএলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স:
খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস- সাকিব আল হাসান (২৮০ রান ও ১৫ উইকেট)।
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স- সাকিব আল হাসান (৩২৯ রান ও ১৫ উইকেট)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- আসগর জাইদি (২১৫ রান ও ১৭ উইকেট)।
খুলনা টাইটান্স- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৯৬ রান ও ১০ উইকেট)।
রংপুর রাইডার্স- ক্রিস গেইল (৪৮৫ রান)।
ঢাকা ডায়নামাইটস- সাকিব আল হাসান (৩০১ রান ও ২৩ উইকেট)।
রাজশাহী রয়্যালস- আন্দ্রে রাসেল (২২৫ রান ও ১৪ উইকেট)।
ফরচুন বরিশাল- সাকিব আল হাসান (২৮৪ রান ও ১৬ উইকেট)।
ইয়াসিন/আমিনুল
আরো পড়ুন