ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

তামিম সিরিজে ৩১ রান, তিন ম্যাচেই একই ভুল!

চট্টগ্রাম থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৪:০৭, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
তামিম সিরিজে ৩১ রান, তিন ম্যাচেই একই ভুল!

তামিমকে তিন বার আউট করেছেন ফারুকি (ছবি: বিসিবি)

একই বোলার। প্রায় একই ধরনের বল। খেলার স্টাইলও একই রকম। ফলও একই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে নিষ্প্রভ হয়ে রইলেন তামিম ইকবাল। তাকে দর্শক বানিয়ে রাখলেন বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকি।

প্রথম ম্যাচে ৮ রান। এলবিডব্লু। দ্বিতীয় ম্যাচেও এলবি ১২ রানে। তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে ১১ রানে বোল্ড। তামিমের তিন আউটেই বোলার সেই একই; ফজল হক ফারুকি। 
 
আফগান পেসারের কাছে তিনবারই হার মানলেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা তামিম। তিন ম্যাচে আউটের ধরন, আউটের বল এবং তামিমের ভুল একই রকম। স্রেফ কার্বন কপি যেন!

ফারুকির একটু ভেতরে আসা বল মিস করছেন বারবার। ফুলার লেন্থ বল অন সাইডে খেলতে গিয়ে বারবার বিপদ ডেকে এনেছেন। প্রথম দুটিতে প্যাডে আঘাত করলেও শেষটায় হালকা ইনসুইং করায় তামিম দর্শক বনে যান। পুরো সিরিজে হাসেনি তার ব্যাট। তিন ম্যাচে সাকুল্যে রান ৩১। 

২০০৭ থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা তামিমের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে নির্দিষ্ট কোন বোলারের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে আউটের রেকর্ড নেই। ফারুকি তাকে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী করলেন। ২২২ ওয়ানডে খেলা তামিম দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ম্যাচ খেলেছেন ১৫২টি। চলতি সিরিজসহ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছেন ৫০টি। মাইলফলক ছোঁয়া সিরিজেই তামিমের হলো তিক্ত অভিজ্ঞতা। 

তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দুইবার একই বোলারের বিপক্ষে আউটের রেকর্ড অবশ্য অহরহই আছে। ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের ডেভিড ল্যাংফোর্ড স্মিথ মিরপুরে তামিমকে দুইবার আউট করেছিলেন। একই বছরের মার্চে কাইল মিলস দুইবার নেন তামিমের উইকেট। ওই বছর আরো একবার মিলস তাকে দুইবার আউট করেন। এছাড়া কেমার রোচ, স্টুয়ার্ট ব্রড, আজমল শেহজাদ, এমপোফু, মিচেল জনসন, মোহাম্মদ হাফিজ, টেন্ডাই চাতারা, ধাওয়ান কুলকারনি, কাগিসো রাবাদা, মিরওয়াইজ আশরাফ, জিমি নিশাম, ডেভন বিশু, দুষ্মন্ত চামিরা তামিমকে তিন ম্যাচ সিরিজে দুইবার আউট করেছেন।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজেও তামিমের এমন হতশ্রী রেকর্ড আছে। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের স্পিনার রেমন্ড প্রাইজ দুইবার, ২০১১ সালে ব্রায়ান ভিট্টরি ও রেমন্ড প্রাইজ দুইবার করে এবং ২০১২ সালে সুনীল নারিন এবং কেমার রোচও দুইবার করে তামিমের উইকেট পেয়েছেন। 

বাঁহাতি পেসারের বিপক্ষে তামিম ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আউট হয়েছেন ২৬ ইনিংসে। তবে গত এক বছরে ১২ ইনিংসেই এলবিডব্লিউ হয়েছেন ৫ ইনিংসে। ব্যাট-পায়ের রসায়ন যে জমছে না তা বোঝা যাচ্ছে। এজন্য তার এলডব্লিউ রোগ সারাতে কাজ করছেন ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফেরা জেমি সিডন্স। 

‘তামিম চায় তার সামনের পা একটু সোজাসুজি রাখতে। এটা খুব দ্রুত হবে না। আমরা বলছি দীর্ঘমেয়াদী ভাবনার কথা। আরো তিন-চার বছর খেলতে হলে, ওর সামনের পা আরেকটু সোজা করতে হবে। আরো অনেক সাফল্য সে পাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি এলবিডব্লিউ না হয়, ওকে আউট করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। অনেক রান করবে ও। আমি দেখতে পাচ্ছি, ওর সেরা খেলা এখনো সামনে অপেক্ষায়।’

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়