মাঠে নেমেই তামিমের সেঞ্চুরি, টানা হার মোহামেডানের
এনামুল হক জুনিয়রকে ডিপ এক্সট্রা কাভারের চারের পর লং অফে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল। তামিম ইকবাল পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিডিসিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের বিপক্ষে খেলতে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পান প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই ওপেনার। অথচ আগের দিন রাতে সিলেট থেকে ফেরেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ একটি সিরিজ শেষে।
তামিম বিশ্রাম নেননি, পরদিন আজ শনিবার (২৪ মার্চ) সকালে নারায়াণগঞ্জে যোগ দেন দলের সঙ্গে। তাতেই বাজিমাত। তামিম যেন এলেন, খেললেন এবং জয় করলেন। তামিমের সঙ্গে রাতে ফিরে আজ ঢাকা লিগ খেলতে নামেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী চৌধুরীও।
খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১৯৯ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। রান তাড়া করতে নেমে তামিমের সেঞ্চুরিতে ৪২.১ ওভারে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক।
ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে তামিম অবশ্য খেলেছেন ধীরগতিতে। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৪৫ বলে। ১৫৬ বলে ১০৯ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তার ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি চারে। গত আসরের শেষ দুই ম্যাচেও তামিম পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। গতবার যেখানে শেষ করেছেন এবার যেন সেখান থেকে শুরু করলেন। ৩৯ রানে তামিমের সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম।
তামিম-মুশফিকরা রান পেলেও চারে নেমে ইয়াসির ফেরেন মাত্র ১ রান করে। এ ছাড়া অধিনায়ক মিথুন ৩১ রান করেন। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
এর আগে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে মোহামেডান ২০০ রানের আগেই অলআউট হয়। সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া শুভাগত হোম চৌধুরী ২৬, অনুষ্টুপ মজুমদার ২৫ ও ইমরুল কায়েস-আরিফুল হক ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাসির হোসেন। ২টি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন-রেজাউর রহমান রাজা।
৪ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটিতেই জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে একটিতেও জেতেনি মোহামেডান। একমাত্র পয়েন্ট পেয়েছে বৃষ্টির বদৌলতে।
রিয়াদ/আমিনুল