স্পিনারদের দাপটে পতাকা উড়ালেন পেসার চিরাগ
ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পুরোদমে ছিল স্পিনারদের দাপট। লিগের শীর্ষ পাঁচ বোলারের চারজনই স্পিনার। কেবল একজনই পেস বোলারদের পতাকা উড়িয়েছেন। তিনি চিরাগ জানি।
রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের পারভেজ রসুল ৩৩ উইকেট নিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে। দুইয়ে তাকা হাসান মুরাদ পেয়েছেন ২৫ উইকেট। ২৪টি করে উইকেট পেয়েছেন পেসার চিরাগ জানি ও আবাহনীর স্পিনার তানবীর ইসলাম। ২৩ উইকেট পেয়েছেন টিপু সুলতান।
ভারতের ক্রিকেটার পারভেজ রসুল গতবারও লিগে দারুণ করেছেন। ২৮ উইকেট নিয়েছিলেন। এবার নিজের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে পেয়েছেন ৩৩ উইকেট। ১৬ ইনিংসে ১৭.৯৩ গড়ে, ৪.০৭ ইকোনমিতে নিজের বোলিং সাজিয়েছেন অফস্পিনার। শেখ জামালকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াইয়ে রাখতে পারভেজ বড় ভূমিকা রেখেছেন।
ডানহাতি অফস্পিনারের চেয়ে ৮ উইকেট কম পেয়েছেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হাসান মুরাদ। বাঁহাতি স্পিনারকে খেলতে হয়েছে রেলিগেশন লিগ। দলের অবনমন এড়াতে ভূমিকা রাখা এ স্পিনার ২৫ উইকেট পেয়েছেন ১৮.৩৯ গড় ও ৩.৯৭ ইকোনমিতে।
ব্যাটিংয়ে শীর্ষ পাঁচে থাকা চিরাগ জানি বোলিংয়ে রয়েছেন তিন নম্বরে। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার প্রায় প্রত্যেকে ম্যাচেই পেয়েছেন সাফল্য। নিয়মিত বিরতিতে ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন কিংবা পুরোনো বলে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। গত আসরে ২৭ উইকেট পাওয়া চিরাগ এবার ২৪ উইকেট পেয়েছেন ২৪.৮৩ গড়ে ও ৪.৬৬ ইকোনমিতে। তার মতো ২৪ উইকেট পেয়েছেন আবাহনীর স্পিনার তানবীর হায়দার। দশমিক এক ইকোনমিতে পিছিয়ে তানবীরের অবস্থান চারে। দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই স্পিনার।
বোলিং তালিকায় পাাঁচে থাকা টিপু সুলতান সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছেন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বাঁহাতি স্পিনার ৯ ম্যাচে ২৩ উইকেট পেয়েছেন ৪.২৭ ইকোনমিতে। যেখানে তার বোলিং গড় ছিল ১৫.২৬।
ইয়াসিন/আমিনুল
আরো পড়ুন