শুরুর ধস সামলে শেষে শামীম ঝড়, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লো রংপুর
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
![শুরুর ধস সামলে শেষে শামীম ঝড়, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লো রংপুর শুরুর ধস সামলে শেষে শামীম ঝড়, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লো রংপুর](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024February/Rangpur-Barishal-2402281422.jpg)
১৯তম ওভারে ওবেদ ম্যাককয়ের প্রথম বল। রিভার্স সুইপ করে ছয় হাঁকালেন শামীম পাটোয়ারী। উইকেটরক্ষক মুশফিকের মাথার উপর দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। পরের বল ডট। এরপরের চার বলে যথাক্রমে চার, ছয়, ছয় ও চার! তাতে মাত্র ২০ বলে চলতি বিপিএলে যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটি স্পর্শ করেন শামীম। শেষ ওভারেও একটি বাউন্ডারিসহ নেন ১১ রান।
একটা পর্যায়ে ১০০ হওয়া নিয়ে ছিল সংশয়। এরপর শামীমের আগমন। শুরুটা ছিল ধীরগতির। এরপর শুরু হয় ঝড়। তাতে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শুরুর ধস সামলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়ে যায় রংপুর রাইডার্স। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান করে রংপুর।
মাত্র ২৪ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম। হাঁকিয়েছেন সমান ৫টি করে চার-ছয়। তার সঙ্গে ৯ বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন আবু হায়দার রনি। দুজনে অষ্টম উইকেটের জুটিতে ৩১ বলে ৭২ রান যোগ করেন।
অথচ রংপুরের শুরুটা ছিল খুবই বাজে। ১৮ রান না হতেই পড়ে যায় ৩ উইকেট। প্রথম তিন ব্যাটারের কেউ দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি। উইকেটে জিমি নিশাম-নিকোলাস পুরান থাকায় তবুও ভরসা ছিল। কিন্তু পরপর পুরান-নিশাম আউট হওয়াতে রংপুর খায় বড় ধাক্কা। এক পর্যায়ে ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
নিশামের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ বলে ২৮ রান। আগের ম্যাচেও ব্যর্থ হওয়া পুরান ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ধাক্কা সামলে নুরুল হাসান সোহান-মোহাম্মদ নবী এগোচ্ছিলেন। কিন্তু দুজনের কেউ এদিন হাল ধরতে পারেননি। ১৫ বলে ১২ রান করে নবী আউট হলে ভাঙে ২৮ বলে ৩১ রানের জুটি। নবীর পর ফেরেন নুরুলও। তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৪ রান। এরপর আর কোনো উইকেট হারাননি শামীম-রনি। দুজনে খেলার মোড় পাল্টে দেন।
আগের ম্যাচে রংপুর রনি তালুকদারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে পাঠায় শামীমকে। শামীম সেবার ব্যর্থ হন। এবার রনির সঙ্গে আসেন শেখ মাহেদী। তিনি ২ রানের বেশি করতে পারেননি। সাইফউদ্দিনের করা একই ওভারের শেষ বলে সাকিব আল হাসান আউট হওয়ার পরই মূলত ধস নামে রংপুরের ইনিংসে।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেমস ফুলার। ২ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। ১টি করে উইকেট নেন কাইল মায়ার্স-মেহেদি হাসান মিরাজ। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন ম্যাককয়। তিনি ৪ ওভারে ৫৩ রান দেন।
রিয়াদ/আমিনুল
আরো পড়ুন