ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শেষ বলের জয়ে ছয় বছর পর ইসলামাবাদ চ্যাম্পিয়ন

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২১, ১৯ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১২:৪২, ১৯ মার্চ ২০২৪
শেষ বলের জয়ে ছয় বছর পর ইসলামাবাদ চ্যাম্পিয়ন

সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল)) ফাইনালে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও মুলতান সুলতানসের মধ্যে লড়াইটা হলো হাড্ডাহাড্ডি। করাচি স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ বলে জিতে ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলো ইসলামাবাদ।

এদিন মুলতান আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তোলে। জবাবে শেষ বলে চার হাঁকিয়ে ৮ উইকেট হারানো ইসলামাবাদ জয় নিশ্চিত করে। এর মধ্য দিয়ে পিএসএল’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিনটি শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে ইসলামাবাদ। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। অন্যদিকে টানা তিনটি ফাইনাল হারের কষ্টে নীল হয় মুলতান। এর আগে তারা ২০২২ ও ২০২৩ সালের ফাইনালেও হেরেছিল।

অবশ্য ইসলামাবাদের জয়ের নায়ক ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। তিনি বল হাতে প্রথমে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে মুলতানের রান নাগালে রাখেন। এরপর ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ফাইনালের ম্যাচসেরাও হন তিনি। আর ৩০৫ রান ও ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন ইসলামাবাদের অধিনায়ক শাদাব খান।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি মুলতান। শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও উসমান খান চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৯.৫ ওভারের মাথায় দলীয় ৬৭ রানের সময় রিজওয়ান ফিরলে ভাঙে এই জুটি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩ চারে ২৬ রান।

৮৫ রানের মাথায় নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে। ১১৪ রানের মাথায় ফেরেন একপ্রান্ত আগলে লড়াই করতে থাকা উসমান খান। তিনি ৭ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করে যান।

সেখান থেকে দ্রুত চারটি উইকেট হারায় মুলতান। ১২০ রানের সময় উসামা মীর (৬), ১২৬ রানেই খুশদীল শাহ (১১) ও ক্রিস জর্ডান (০) ফিরেন এবং ১২৭ রানে আব্বাস আফ্রিদি (১)। সেখান থেকে মুলতানের দলীয় সংগ্রহ ১৫৯ পর্যন্ত যায় ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে ভর করে। তিনি ২০ বলে ৩টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেন।

বল হাতে ইমাদের ৫ উইকেটের বাইরে শাদাব খান নেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নেন তিনি।

রান তাড়া করতে নেমে ইসলামাবাদও ৫৫ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। কলিন মানরো (১৭), আগা সালমান (১০) ও শাদাব খান (৪) ফিরেন দ্রুত। সেখান থেকে মার্টিন গাপটিল ও আজম খান দলকে লড়াইয়ের মঞ্চে তোলেন ৪৭ রানের  জুটি গড়ে।

দলীয় ১০২ রানের মাথায় গাপটিল ফিরেন ফিফটি করে। ৩২ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। ১২১ রানের মাথায় ফেরেন আজমও। তিনি ২২ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩০ রান। এরপর ১২৮ রানে হায়দার আলী (৫) ও ১২৯ রানে ফাহিম আশরাফ (১) আউট হলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে ইসলামাবাদ।

কিন্তু সেটা সামাল দিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন ইমাদ ও নাসিম শাহ। তারা দুজন ১৬ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে ১৫৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। অর্থাৎ স্কোর লেভেল করেন। জিততে শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে নাসিম আউট হয়ে যান ৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান করে। তাতে শেষ বলে জিততে ১ রান প্রয়োজন ছিল ইসলামাবাদের। নতুন ব্যাটসম্যান হুনাইন শাহ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও শর্ট থার্ডম্যানের মধ্যখানের গ্যাপ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। আর উল্লাসে ভাসান দলের খেলোয়াড়, কোচ-কর্মকর্তা, ভক্ত-সমর্থক সবাইকে।

বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন মুলতানের খুশদীল শাহ ও ইফতিখার আহমেদ।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়