ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ঈদের বাকি ১৫ দিন: সিলেটের শপিংমলে কেনাকাটার ধুম

নূর আহমদ, সিলেট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ৭ এপ্রিল ২০২৩  
ঈদের বাকি ১৫ দিন: সিলেটের শপিংমলে কেনাকাটার ধুম

সিলেট নগরীর একটি শপিং সেন্টারের ভেতরের দৃশ্য

ঈদের এখনো ১৫ দিন বাকি থাকলেও মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে সিলেটের শপিং সেন্টারগুলোতে। প্রিয় মানুষের জন্য কেনাকাটা করতে নগরীর মার্কেটগুলোতে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ছুটির দিন হওয়ায় সিলেট নগরীর সব মার্কেট খোলা ছিলো। ক্রেতাদের ভিড়ও ছিলো অন্যদিনের চেয়ে বেশি। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে তাই মার্কেটগুলোকে ভিন্নভাবে সাজিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নগরীর মধুবন মার্কেট, হাসান মার্কেট, ব্লুওয়াটার শপিং সিটি, শুকরিয়া, সিটি সেন্টার ও আলহামরাসহ সবকটি শপিং সিটিতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আরো পড়ুন:

ঈদের পোশাকের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে গণ্য হয় বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া এলাকার মার্কেটগুলো। শুক্রবার এই মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রীতিমতো কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী। একইভাবে অভিজাত ফ্যাশন হাউস আড়ং, মাহা থেকে শুরু করে নয়াসড়ক ও জেলরোড সড়কের সব ফ্যাশন হাউসে প্রথম রমজান থেকেই ঈদের কেনাকাটা বেড়েছে।

জিন্দাবাজার ব্লু—ওয়াটার শপিং সিটির জিএম মলয় দত্ত মিঠু জানান, ঈদের এখনো ১৫ দিন বাকি আছে। এরই মধ্যে ব্যবসা জমে উঠেছে। সবগুলো দোকানে নতুন পোশাকের পসরা। শুধু পোশাক নয়, নারী পুরুষ, শিশু-কিশোরদের থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী সব বয়সী মানুষকে মাথায় রেখে দোকানগুলোর প্রস্তুতি বিন্যাস হয়েছে। নতুন ডিজাইনের গহনা, কসমেটিকস, থ্রি পিস, টিশার্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি মন কেড়েছে ক্রেতাদের।

মাহা শপিংমল থেকে মায়ের জন্য শাড়ি আর মেয়ের জন্য রেডি থ্রি-পিস কিনেছেন শারমিন সুমি। তিনি জানান, প্রতিবছর চেষ্টা করি ঝামেলামুক্ত ঈদের কেনাকাটা করতে। তবে সেটি এবার হয়নি। সাধারণ মানুষ পুরোদমে কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন।

অপরদিকে, যারা কাপড় কিনে দর্জিপাড়ায় গিয়ে নিজের পছন্দমতো সালোয়ার-কামিজ, দোপাট্টা, প্যান্ট কিংবা শার্ট তৈরি করেন তাদেরকে ভিড় করতে দেখা গেছে ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, মধুবন, শুকরিয়া, লতিফ সেন্টারসহ থান কাপড়ের দোকানগুলোতে। আগেভাগে কাপড় কিনে সেলাইয়ে না দিলে ঈদের আগে পোশাক পেতে বেগ পেতে হয়, তাই এই দৌড়ঝাঁপ বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতারা।

টেইলার আব্দুল আলিম জানান, যেভাবে অর্ডার আসছে, এবার একটু আগেবাগেই হয়তো অর্ডার নেওয়া বন্ধ করতে হবে।

নারীদের ফ্যাশনের অন্যতম অনুসঙ্গ চুড়ি। সেই দোকানগুলোতেও ভিড়ের কমতি নেই। আল হামরা শপিং সিটির ‘পারফিউম প্লাস’ এর কর্ণধার ও ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইর্শাদ আলী বলেন, ‘আমার দোকানে নারীদের দেশি বিদেশি চুড়ি থেকে শুরু করে সবধরনের কসমেটিকস সামগ্রী রয়েছে। ব্যবসাও মন্দ হচ্ছে না। আশা করছি আরো ভালো হবে।

ঈদে অনলাইনে কেনাকাট হাল সময়ের জনপ্রিয় মাধ্যম। সেই মাধ্যমেও কেনাকাটা চলছে। অনলাইন ভিত্তিক ফ্যাশন হাউস রায়নগর সেবক (দাদাপীর সড়ক) এলাকার থ্রি-পিস এক্সক্লুসিভের কর্ণধার ফেরদৌসি আক্তার জানান, গত বছরের মতো এবারও দেশি—বিদেশি পোশাক আমাদের কালেকশনে রয়েছে। অর্ডার পাচ্ছি। আশা করছি এবার ভালো ব্যবসা হবে।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষ কিছুটা কষ্টে থাকলেও ঈদের আনন্দ মিস করতে চান না। বিশেষ করে সিলেট প্রবাসী অধ্যুসিত অঞ্চল। রেমিটেন্স আসা শুরু হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় ব্যবসা এবার ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়