ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কেমন আছে কুতুবপুর ও হুমায়ূনের স্বপ্নের স্কুল

সঞ্জয় সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ১৯ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কেমন আছে কুতুবপুর ও হুমায়ূনের স্বপ্নের স্কুল

নেত্রকোনা : শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের মাঝে হুমায়ূন আহমেদ (বিদ্যালয় থেকে ছবি সংগৃহীত)

সঞ্জয় সরকার: ‘দাদার বাড়িতে পুকুরপাড়ে বটগাছের মতো বিশাল এক কামরাঙা গাছ ছিল। সেই কামরাঙা গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে বই পড়ার আনন্দের কোন তুলনা হয় না। বাবা জায়গায় জায়গায় লোক পাঠিয়ে গ্রাম্য গায়কদের আনতেন। তাঁরা তাঁদের বাদ্যযন্ত্র হাতে উপস্থিত হতেন- রোগাভোগা, অনাহারক্লিষ্ট মানুষ, কিন্তু তাঁদের চোখ বড়ই স্বপ্নময়। ...হাত উঁচু করে যখন গাতক ঢেউ খেলানো সুরে মাথার লম্বা বাবড়ি ঝাঁকিয়ে গানে টান দিতেন- ‘আমার মনে বড় দুষ্ক/ বড় দুষ্ক আমার মনে গো’। তখন তাঁর মনের দুষ্ক ছড়িয়ে যেতো শ্রোতাদের মনে। চোখ ভরে জল আসতো।’

‘আমার ছেলেবেলা’ বইয়ে কুতুবপুর গ্রাম এভাবেই চিত্রায়িত করেছেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম কুতুবপুর। এখানেই তার দাদার বাড়ি, অর্থাৎ পৈত্রিক নিবাস। তার ছেলেবেলার অনেক আনন্দময় দিন কেটেছে এ গ্রামে।

নেত্রকোনা : হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ


শত ব্যস্ততার মাঝেও কুতুবপুরের শৈশব স্মৃতি তাড়িত করত হুমায়ূন আহমেদকে। গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর কথা ভাবতেন তিনি। তাই মা আয়েশা ফয়েজের অনুপ্রেরণায় প্রত্যন্ত গ্রামটিকে আলোকিত করার এক মহৎ উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। এলাকার শিশু-কিশোরদের মাঝে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা বিস্তার এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষায় সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন অন্যরকম এক বিদ্যাপীঠ, লাইব্রেরি, সংগ্রহশালা, শহীদ স্মৃতিফলক প্রভৃতি।বিদ্যালয়ের সার্বিক আয়োজন, পড়ার মান, পরিচালন পদ্ধতি, স্থাপত্য শৈলী- সব মিলিয়ে বলা যায় এ যেন সত্যি এক ‘শিশুস্বর্গ’। নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়কে নিয়ে গর্ব করে হুমায়ূন আহমেদ নিজেই একদিন লিখেছিলেন: ‘আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি পুরো বাংলাদেশে এই স্কুলের চেয়ে সুন্দর স্কুল নেই, কোন স্কুলের এত বড় লাইব্রেরি নেই, এতগুলো কম্পিউটার নেই’।

কুতুবপুর কতদূর
নেত্রকোনা সদর থেকে কুতুবপুর গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। জেলা সদর থেকে প্রথমে যেতে হয় ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কেন্দুয়া উপজেলা সদরে। এরপর সেখান থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের সাহিতপুর বাজার। সাহিতপুর থেকে ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় রোয়াইলবাড়ি। এখানেই রয়েছে প্রাচীন শাসনকর্তা মসনদে আলী ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। সেখান থেকে আর ৭ কিলোমিটার এগোলেই কুতুবপুর। জেলা সদর থেকে কেন্দুয়া এবং কেন্দুয়া থেকে সাহিতপুর পর্যন্ত বাস চলে। বাকি পথ যেতে হয় অটোরিকশা, রিকশা বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে। ময়মনসিংহের নান্দাইল দিয়েও যাওয়া যায় কুতুবপুরে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এক সময় এটি ছিল একেবারেই অখ্যাত এবং দুর্গম গ্রাম। গ্রামের প্রথম গ্র্যাজুয়েট শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং তার তিন খ্যাতিমান পুত্র কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের কারণে আজ শুধু এ গ্রামটিই নয়, গোটা উপজেলাবাসীই গর্বিত।
 

নেত্রকোনা : হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের আওতাধীন শহীদ ফয়জুর রহমান পাঠাগার


স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ
কুতুবপুর গ্রামের সীমানায় পৌঁছামাত্র রাস্তার বামপাশে চোখে পড়ে একটি ফলক: ‘শহীদ ফয়জুর রহমান সড়ক’। ফলকের ঠিক পূর্বদিকে ২৯০ শতক জায়গায় অবস্থিত ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ’। বিশিষ্ট অভিনেতা (বর্তমানে সংস্কৃতি মন্ত্রী) আসাদুজ্জামান নূর ১৯৯৬ সালের ১২ জানুয়ারি বিদ্যালয় ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টিতে পাঠদান শুরু হয় ২০০৭ সালে। মেহের আফরোজ শাওনের করা নকশায়  নির্মিত বিদ্যালয় ভবনটির স্থাপত্য শৈলী অনন্য। এটি দেখতে অনেকটা বাংলো বা শ্যূটিং স্পটের মতো। সব কিছুতেই নান্দনিকতার ছোঁয়া। দু’ সারি ভবনে মোট কক্ষ ১৪টি। এর মধ্যে শ্রেণীকক্ষ ১২টি। বাকি দু’টিতে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ও শিক্ষক মিলনায়তন। ভবনের দু’ সারির মাঝখানে সুসজ্জিত বাগান। সামনে বিশাল খেলার মাঠ।

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের লেখাপড়ার ধরন এবং নিয়মানুবর্তিতা একটু আলাদা। এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া তাদের নিয়মিত খেলাধূলায় অংশ নিতে হয়। প্রতি বৃহস্পতিবার আবৃত্তি, কুইজ, বিতর্ক, সঙ্গীত প্রভৃতি বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সংস্কৃতি ক্লাস। নিয়মিত পড়া আদায়ের পাশাপাশি তাদের মাসিক মূল্যায়ন করা হয়। দিনের পড়া দিনেই শেখানো হয়। কারও প্রাইভেট পড়তে হয় না। বিদ্যালয় আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষেধ। বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে কারণ দর্শানো বাধ্যতামূলক। হুমায়ূন আহমেদ নিজেই চালু করেছিলেন এসব নিয়ম। কুতুবপুর ছাড়াও কেন্দুয়ার রোয়াইলবাড়ি, পাইকুড়া এবং পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলাধীন নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে এ বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সাধারণ বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি কম্পিউটার নিয়ে রয়েছে সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব। প্রধান শিক্ষকসহ মোট ১৮জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন বিদ্যালয়ে। ব্যবস্থাপনা পরিষদের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন পাঁচ সদস্যের কমিটি। জীবদ্দশায় হুমায়ূন আহমেদ নিজেই এটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই পরিশোধ করতেন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সভাপতিরে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, জননন্দিত এ কথা সাহিত্যিকের মৃত্যুর পর তার মা আয়েশা ফয়েজ বিদ্যালয়টি দ্রুত এমপিওভূক্ত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মন্ত্রী নিজেও। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি আজও প্রতিশ্রুতিই রয়ে গেছে।
 

নেত্রকোনা : হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের সামনে নির্মিত শহীদ স্মৃতি ফলক


শহীদ স্মৃতি ফলক
বিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা আয়েশা ফয়েজের ইচ্ছা ছিল বিদ্যালয়টি যেন তার স্বামী ফয়জুর রহমান আহমেদের নামে করা হয়। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ একটু ব্যতিক্রম চিন্তায় এর নামকরণ করেন ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ’। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের নামে বিদ্যালয়। তার বাবা একজন শহীদ। কাজেই তার বাবার নামটিও এতে যুক্ত। অবশ্য তিনি তার মায়ের ইচ্ছাও পূরণ করেছেন অন্যভাবে। বিদ্যালয়ের মাঠের এক প্রান্তে তার বাবাসহ মুক্তিযুদ্ধের চার বীর শহীদের নামে নির্মাণ করেছেন ‘শহীদ স্মৃতি ফলক’। চার শহীদরা হচ্ছেন: শহীদ ফয়জুর রহমান (কুতুবপুর), শহীদ মুখলেছুর রহমান (কচন্দরা), শহীদ মুখলেছুজ্জামান (বালিজুড়া) ও শহীদ আব্দুল লতিফ মাস্টার (বারইকান্দা)। ফলক উন্মোচন করেছিলেন বিশিষ্ট কবি শামসুর রাহমান। প্রসঙ্গত, হুমায়ূন আহমেদের পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান একাত্তরে পিরোজপুরের পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে পাকহানাদার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের হাতে শহীদ হন। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে তাঁর নামে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে।

শহীদ ফয়জুর রহমান পাঠাগার
বিদ্যালয়ের সঙ্গে থাকা চাই সমৃদ্ধ পাঠাগার। তাই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বছরই হুমায়ূন আহমেদ সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন একটি পাঠাগার। নাম ‘শহীদ ফয়জুর রহমান পাঠাগার’। পাঠাগারটিতে বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। এর দেয়ালজুড়ে রাখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কয়েকশ দুর্লভ ছবি ও দলিলপত্র। হুমায়ূন আহমেদ নিজেই কিনে দেন এগুলো। বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান জাহাঙ্গীর হোসেন পরিচালনা করেন পাঠাগারটির কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের জন্য এ পাঠাগারের বই এবং পত্র-পত্রিকা পড়া বাধ্যতামূলক। লাইব্রেরিয়ান জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কুতুবপুর এবং এর আশপাশের গ্রামের শিক্ষিত যুবক-যুবতী এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরাও নিয়মিত এখান থেকে বই নিয়ে পড়ে। 

সাফল্যগাথা
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৪৯ জন। কেন্দুয়া উপজেলায় এটি একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত। গত কয়েকটি এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা কেন্দুয়া উপজেলায় সবচেয়ে ভালো ফল করেছে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়ের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০জন। আর এসএসসিতে পেয়েছে ৯ জন। ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল সর্বশেষ বিদ্যালয়টি দেখতে আসেন হুমায়ূন আহমেদ। এ সময় প্রিয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ তার নানা স্বপ্নের কথা বলেন। তিনি ঘোষণা দেন- এসএসসিতে যারা জিপিএ-৫ পাবে তাদের ‘লীলাবতী’ পুরস্কার দেবেন। আর জেএসসি’র কৃতী শিক্ষার্থীদের বেড়াতে নিয়ে যাবেন সেন্টমার্টিন। বিদ্যালয়টিকে ভবিষ্যতে কলেজিয়েট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করারও স্বপ্ন ছিল তার। তিনি এটিকে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চেয়েছিলেন যাতে ‘গ্রামের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য আর শহরে যেতে না নয়। উল্টো শহরের শিক্ষার্থীরাই গ্রামে ছুটে আসে’। কিন্তু তার সে স্বপ্ন অনেকটা অধরাই থেকে গেলো। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই দূরারোগ্য ক্যানসারে জীবনাবসান ঘটলো কুতুবপুর গ্রামের এই দেশবরেণ্য কৃতী সন্তানের।

নেত্রকোনা : শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ভিত্তিপ্রস্থর


সীমাহীন গর্ব ও ভালোবাসা
জননন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই কুতুবপুর গ্রামবাসীর। আর শুধু কুতুবপুরই নয়, গোটা কেন্দুয়া উপজেলাবাসীও গর্ব করেন কথাসাহিত্যের এই বরপুত্রকে নিয়ে। হুমায়ূন ভক্ত পরিষদের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আকন্দ বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের পৈত্রিক নিবাস হওয়ার কারণে কুতুবপুর এলাকার পরিচিতি আজ সারা দেশে। তার ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ পিছিয়ে পড়া এলাকাটিকে আলোকিত করেছে। দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের পা পড়েছে কুতুবপুরের মাটিতে। তাই হুমায়ূন আহমেদ আমাদের এক অফুরন্ত ভালবাসার নাম।’

‘আমরা হুমায়ূন স্যারের প্রতিষ্ঠিত স্কুলে পড়ি। এটি ভাবতেই অন্যরকম লাগে’ -ঠিক এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফা আক্তার স্মৃতি। নবম শ্রেণির ছাত্র কামাল হোসেন বলে, ‘গ্রামের মানুষদের তিনি খুব ভালবাসতেন। আর এ কারণেই আমাদের জন্য এত কিছু করেছেন। তাই হুমায়ূন স্যার না থাকলেও তার প্রতি সব সময় আমাদের ভালবাসা থাকবে’। হুমায়ূন আহমেদের চাচা আলতাবুর রহমান আহমেদ বলেন, ‘হুমায়ূনের জন্যে আমরা সত্যিই গর্বিত। সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ- তার বিদ্যালয়টি যেন অবিলম্বে এমপিওভূক্ত করা হয়’। কেন্দুয়া উপজেলা সদরের চর্চা সাহিত্য আড্ডার সমন্বয়ক রহমান জীবন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ আমাদের কেন্দুয়া উপজেলার কৃতী সন্তান। তার জন্যে কেন্দুয়াবাসী হিসেবে আমাদের পরিচয় আজ গৌরবান্বিত’।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জুলাই ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়