ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সরলভাবে রাজনীতিতে এসেছি, কোনো প্রতিহিংসা নেই : মাশরাফি

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সরলভাবে রাজনীতিতে এসেছি, কোনো প্রতিহিংসা নেই : মাশরাফি

ইয়াসিন হাসান, নড়াইল থেকে : তাঁর কাছে পৃথিবীর সবথেকে শান্তির জায়গা নড়াইল। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবথেকে ছোট জেলার ঘাস মাড়িয়ে তিনি বড় হয়েছেন। ধুলো গায়ে মাখিয়ে কেটেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর। স্রোতের প্রতিকূলে চিত্রা নদী পার হওয়া ছিল তাঁর আরেক নেশা। সেই দস্যিপনার, ডানপিটে আর দুরন্ত ছেলেটার নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা।

আজ যিনি নড়াইলের জনপ্রতিনিধি, জননেতা।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ পদপ্রার্থী মাশরাফি। ‘কৌশিক’ নামে পরিচিত ৩৫ বছর বয়সি ছেলেটাই সুন্দর ও সমৃদ্ধ নড়াইল গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। ২২ গজ এখনও ছাড়েননি। ক্রিকেট মাঠের সফল অধিনায়ক স্বপ্ন দেখছেন আদর্শ জেলা হিসেবে নড়াইল গড়ে তোলার। হতে চান নড়াইলের ‘অধিনায়ক।’ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সমর্থন চান নড়াইলবাসীকে।



পাঁচদিন দিন-রাত গণসংযোগ আর পথসভা করে মাশরাফি মানুষের দ্বারেদ্বারে গিয়েছেন ভোট চাইতে। এটা তার নতুন অভিজ্ঞতা। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা আর রাজনীতি-ই বা কেমন বুঝলেন স্বল্প সময়ে; এসব নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয়েছিলেন রাইজিংবিডি’র ক্রীড়া প্রতিবেদক ইয়াসিন হাসানের। খোলামেলা কথা বলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সেগুলো রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

প্রশ্ন: রাজনীতির ময়দান কেমন লাগছে?
মাশরাফি বিন মর্তুজা:
এটা এখনও বোঝার সুযোগ পাচ্ছি না! চার-পাঁচদিন হলো এসেছি। দেখলেন তো কিভাবে দৌড়াচ্ছি। প্রতিদিন ২০-২৫টা করে পথসভা করছি। তাই অনুভব করার সুযোগ পাচ্ছি না। এর সাথে আবার প্রতিদিন মিটিং করতে হচ্ছে বিভিন্ন দল ও নানা ব্যক্তি বর্গের সঙ্গে। তাই বললাম এখনও অনুভব করার সুযোগ পাচ্ছি না।

প্রশ্ন: খেলোয়াড় মাশরাফি থেকে রাজনীতিবিদ মাশরাফি; এই পরিবর্তনে নিজের মধ্যে আপনি কোন জিনিসটির পরিবর্তন পেয়েছেন?
মাশরাফি বিন মর্তুজা:
দুই জায়গাতেইতো আছি। খেলাটা যতদিন না ছাড়ি ততোদিনতো আমার ক্রিকেটার পরিচয় হারিয়ে যাচ্ছে না। আগে বলেছি, জীবন দিয়ে খেলেছি, সামনে তাই করবো। পারা না পারাটা তো ভিন্ন বিষয়। সেটা তখনও একটা ব্যাপার ছিল এখনও তাই। আজকে থেকে ছয়মাস আগে যেই ম্যাচ খেলতে নেমেছিলাম ওই ম্যাচে যদি ইনজুরিতে পরতাম তাহলে ওখানেই আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেত। আমি এমন একটা বয়সে দাঁড়িয়ে আছি, ছোটখাটো একটা ইনজুরি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দেবে। আর এটাতো পুরো আলাদা একটা সেক্টর, যেখানে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। দুটো জায়গাতেই আমি প্রকটভাবে শক্ত অবস্থানে আছি। এখন দেখা যাক সামনে কী হয়।



প্রশ্ন: গণসংযোগে আপনার প্রতি মানুষের ভালোবাসার কমতি নেই। পথসভায় সবার ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন, এটা কতখানি নাড়া দিচ্ছে আপনাকে?
মাশরাফি বিন মর্তুজা:
অবশ্যই ভালো লাগছে। নড়াইলের মানুষ আমার পাশে সব সময়ই ছিল। এমন অনেক সময় হয়েছে ইনজুরিতে পরে আমি বাসায় শুয়ে ছিলাম। অনেক অপরিচিত লোক আমাকে দেখতে এসেছে। ২০০১ সালের ইনজুরিতে আমি ১৪ মাস দলের বাইরে ছিলাম। ৬ মাস আমি বেডে শুয়েছিলাম। নড়াইলে ছিলাম ওই সময়টায়। ওই সময়টাতেও আমি নড়াইলবাসীর অনেক সমর্থন কিংবা সাপোর্ট যাই বলুন না কেন পেয়েছি। আমি শুয়ে আছি দেখে, আমার আশপাশের লোকরা আমাকে দেখতে এসে ভ্যানে করে ঘুরতে নিয়ে যেত। এইসব কারণে নড়াইলবাসীর জন্য আমার হৃদয়ে বাড়তি একটা অনুভূতি’তো আছেই। এখনতো আরও কাছকাছি তাদের সঙ্গে মেশার সুযোগ হচ্ছে। যারা টিভিতে দেখেছে, এরাও এখন রাস্তায় বের হয়ে আসছে আমাকে দেখার জন্য। সবার স্বতস্ফূর্ত ভালোবাসাতো আছেই। এটাতো ভালো লাগছে।

প্রশ্ন: গত চারদিন এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আপনার আগমণ উপলক্ষ্যে স্থানীয়রা অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছে। আপনার স্ত্রীর এলাকাতে ‘জামাই-আদর’ পেয়েছেন। আবার এক জায়গায় লাঠি নিয়ে একটা নৃত্য পরিবেশন হয়েছে। এরকম আরও ভুড়িভুড়ি ঘটনা আছে। এখান থেকে বিশেষ কোন মুহূর্তটা আপনাকে বেশি নাড়া দিয়েছে?
মাশরাফি বিন মর্তুজা:
কোন মুহুর্তকে ছোট করার কোন সুযোগ নেই। বিভিন্ন জায়গায় অনেকে অনেকের ঐতিহ্য মেনে আমাকে বরণ করেছে, সেগুলো খুব ভালো লেগেছে। তারা আমাকে বরণ করতে অনেক পরিশ্রম, অনেক ত্যাগ করেছে। আমি এখানে কোন টাকা দেইনি, আমার কেবল এই পথ দিয়ে যাওয়ার কথা। উনারা যারা এভাবে খরচ করে আমাদের বরণ করেছেন, প্রত্যেকেই প্রত্যেকর কষ্টের টাকা আমার পেছনে খরচ করেছেন। কোনটাকেই ছোট করার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন: নির্বাচনাতো অনেকেই করে? কিন্তু আপনার মতো সমর্থন কাউকে পেতে দেখা যায়নি? যে গণজোয়ার হচ্ছে...
মাশরাফি বিন মর্তুজা:
এটা আসলে বোঝা যাবে, ৩০ ডিসেম্বর। এই মুহূর্তে কথা বললে বলতে পারি, আমি সকলের ভালোবাসায় আপ্লুত। গত চারদিনে দেখেছি রান্না-বান্না বাদ দিয়ে ঘরের মা-বোনেরা এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। যাওয়ার কথা ২টায় কিন্তু আমার যেতে যেতে ৪টা বেজে গেছে। কিন্তু তারা ২টা থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে! আবার কেউকেউ ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত। এরকম শীতের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা তো কষ্টের। কেউ কেউ পিঠা, কেউ পানি, কেউ মিষ্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ ফুল নিয়ে বরণ করেছে। এই ব্যাপারগুলো আমাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে, তাদের জন্য কিছু করার ক্ষেত্র তৈরি করতে।



প্রশ্ন: নড়াইলের রাজনীতি কেমন? জানতে চাচ্ছি অভ্যন্তরীণ রাজনীতি কেমন এখানে?
মাশরাফি বিন মর্তুজা:
নতুন কোন কিছু এখনো আমি খোঁজার চেষ্টা করিনি। সবাইকে বলেছি দলমত নির্বিশেষে কাজ করতে। এতোটুকু বার্তা আমি সবাইকে দিয়েছি। আশা করি সবাই সেভাবেই কাজ করবে, এটাও আশা করছি। কারণ আমি কোন সিন্ডিকেট নিয়ে নড়াইলে আসিনি। এখানে সরলভাবে এসেছি, আশা করি সবাই সরলভাবে দেখবে। এই বার্তাটাই দেওয়া চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন: চার-পাঁচদিন পুরো নড়াইল বেড়িয়েছেন। রাজনৈতিক মাঠ দেখলেন। এখানে নির্বাচিত না হয়েও ব্যক্তি মাশরাফির প্রতিশ্রুতি রক্ষার একটা বিষয় থাকে। সব মিলিয়ে কি মনে হয় ২২ গজ কঠিন নাকি রাজনীতির মাঠ কঠিন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা:
এখানে আসলে, খুলে বলি...২২ গজে রফাদফা হয়ে যায় যদি টেস্ট ম্যাচ ধরি ৪০ বা ৪৫ ঘন্টায়, ওয়ানডে খেললে ৮ ঘন্টায় আর টি-টোয়েন্টি খেললে তিন ঘন্টায়। সকল ব্রেকসহ হিসাব করে। এখানে চলতে থাকবে। এখানে আমি এসেছি খুব বেশিদিন হয়নি। সময় সল্পতা ছিল। না হলে হয়তো আরও সময় নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া যেত। তাহলে বোঝা যেত রাজনীতির মাঠ কঠিন কিনা। এজন্য এখন ক্লিয়ার মেসেজ দিতে পারছি না। সময়ের সাথে সাথে আরও কিছু বোঝা যাবে। তবে এটা ঠিক বৃহৎ আকারে কাজ করার সুযোগ এখানেই। বাস্তবতা নিয়ে কাজ করার সুযোগ এখানেই।

প্রশ্ন: তাহলে তো বলা যাবে, নড়াইলে মাশরাফির ‘নৌকা’ বিরামহীন চলবে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা:
ভবিষ্যতের কথা আমি কখনোই বলিনি। বলবও না। বর্তমান সময়ে আমার যে পরিস্থিতি তাতে মনে হয় আমার বর্তমানে থাকা জরুরি। বর্তমান সময়ের সমস্যা, সুবিধা সবকিছু সমাধান করা দরকার।



প্রশ্ন: যেহেতু বর্তমান সময়ের কথা বললেন তাহলে একটু জানতে চাইবো, নড়াইলের বর্তমান চিত্র সম্পর্কে কতোটুকু ধারণা ছিল? যেমন আপনার নির্বাচনী এলাকায় রাস্তাঘাটের বেহাল দশা...
মাশরাফি বিন মুর্তজা:
হয়তো খুব ভেতরের যে এলাকা আছে সেগুলো সম্পর্কে হয়তো ধারণা ছিল না। কিন্তু আরও কিছু জায়গা আছে সেগুলো সম্পর্কে আমি নিজেও জানতাম যে রাস্তারগুলোর অবস্থা ওরকম। সেটা কিন্তু আজকের থেকে না... নিজেও যখন ঘোরাফেরা করেছি তখন দেখেছি। আর এগুলো আমি প্লেয়িং লাইফ থেকেও দেখে এসেছি। যখন আমি খেলা শুরু করেছিলাম টেপ টেনিস কিংবা অন্য কিছু...তখন তো এদিক-সেদিক অনেক ঘোরাফেরা করেছি। তাই ধারণা ছিল। মোটামুটি বড় বড় যেসব জায়গা সেগুলো সম্পর্কে আগের থেকে জানা ছিল।

প্রশ্ন: আপনি নিজে ফোন করে বিএনপির প্রার্থী ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আশ^স্ত করেছেন যে, ‘কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না। নির্বিঘেœ প্রচারণা চালাতে।’ প্রতিপক্ষকে যে সম্মান আপনি দেখিয়েছেন সেটা অন্যকেউ দেখায় না সচরাচর। সবাই কাঁদা ছোড়াছুড়িতেই ব্যস্ত থাকে। আপনি যেটা করেছেন সেটা ভিন্ন একটা দৃষ্টান্ত। বাস্তব জীবনে ব্যক্তি মাশরাফি যেরকম ঠিক রাজনীতির ময়দানেও একই রকম?
মাশরাফি বিন মর্তুজা:
যদি সহজে বলি সত্যিই তাই। বাস্তবে যেকরম ঠিক সেরকমটাই প্রকাশ করেছি। আবার আমি ক্রীড়াবিদ বলেই হয়তো এভাবে ভাবতে পারছি। আমি কিছুটা ‘স্পোর্টিও’। ক্রীড়াবিদদের ভেতরে প্রতিপক্ষকে সম্মান করার প্রবণতা থাকে। তবে অন্য সেক্টরে যে নেই তা নয়। তবে ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব খানিকটা বেশি। আমার মধ্যে প্রতিহিংসা কোনভাবেই নেই। আমার সাথে কেউ খারাপ কিছু করলে আমি প্রতিশোধ নিতে পছন্দ করি না। উনার সঙ্গেতো আমার ব্যক্তিগত লেনদেন নেই। ওনার সঙ্গে আমার সামনা-সামনি কোনদিন কথাও হয়নি। তো প্রশ্নই উঠে না, শুধু কাঁদাছোড়াছুড়ি করার।

প্রশ্ন: মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয় নিয়ে একটু কথা বলি...সবাই নির্বাচনের আগে ভোট চাওয়ার সময় বলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয় করবে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই দেখা যায় তারা উপেক্ষিত। আসলে কাজ করার জায়গায় থাকে না। আপনার শহরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। নড়াইলের উন্নয়নের জন্য তাদেরকে নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা আছে কিনা?
মাশরাফি বিন মুর্তজা:
আজ (বুধবার) উনাদের সঙ্গে একটা মিটিং ছিল। উনারা স্বতস্ফূর্তভাবে আমাকে সহযোগীতার আশ^াস দিয়েছেন। আর উনাদের সম্পৃক্ততা এ কারণে দরকার কারণ একমাত্র উনারাই বিনা স্বার্থে এদেশকে স্বাধীন করেছেন। আমরা তরুণ প্রজন্ম এভাবে হেঁটে বেড়াচ্ছি, স্বাধীনভাবে কথা বলছি, খেলাধুলা করছি, খাওয়া-দাওয়া করছি, এখানে কোনো বাঁধা নিষেধ নাই। এটা একমাত্র উনাদের কারণে। আজ নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বসেছিলাম। কাল (বৃহস্পতিবার) লোহাগড়া থানার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বসবো। উনাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, উনারা বেশি কিছুই চান না। উনারা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চান। এ সম্মানটুকু উনারা যেন পান। এতোটুকুই...আমিও বলেছি শুধু নির্বাচনের জন্য না, নির্বাচনের বাইরেও আমার যতটুকু সম্ভব ঠিক ততোটুকু উনাদের জন্য করবো। উনাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত আবেগ আছে। শুধু নড়াইল কেন, পুরো বাংলাদেশের যতো মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সম্মান করি। এবং সেটা মনের থেকে করি। আমার থেকে অসম্মানের কোনো সুযোগই না সেখানে।



প্রশ্ন: অনেক নতুন ভোটার আছে এখানে। তাদের প্রথম ভোট। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে তাদের ভোটটাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা যেন সঠিক প্রার্থীকে বাছাই করে নেয় সেজন্য কোনো বার্তা দেবেন। আরেকটা জিনিস, তারা প্রথম ভোটেই কেন আপনাকে ভোট দেবে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা:
প্রত্যেকটা ভোটারের গ্রহণযোগ্যতা সমান। এবং প্রত্যেকের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে, তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা আছে। তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। আমি ¯্রফে কোনোভাবেই কোনোকিছু বলিনি। আমি শুধু বলেছি, আপনারা শুনেছেনও। আপনার সিদ্ধান্ত আপনি দেবেন। কিন্তু আমার যদি গ্রহণযোগ্যতা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে ভোট দেবেন। তরুণ প্রজন্ম অবশ্যই স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে। এটাও বলেছি। আমাদের নড়াইলের যারা তরুণ সমাজ আছে...অনেককেই দেখলাম যারা আমার পরিচিত, আমার আশে-পাশে আছে আবার যারা অপরিচিত কিন্তু দুই-একটা কথায় বুঝেছি তারা সবাই স্বতফূর্ত আছে। অবশ্য শেষ সিদ্ধান্ত তাদের। আমি শুধুমাত্র তাদের ভোট প্রত্যাশা করতে পারি। এর বেশি কিছু না। সুযোগ পেলে হয়তো আমার কাজের ধরণে ওরা বুঝতে পারবে আমি কি কাজ করতে চাচ্ছি নড়াইলের জন্য।

প্রশ্ন: অনেক তারকার যেমন নায়ক-নায়িকাদের নিজস্ব কিছু ভক্ত থাকে। ২০ বা ২৫ বছর বয়সি। আবার কিছু বৃদ্ধদের পছন্দ। কিন্তু আপনার ভক্ত শিশু থেকে বৃদ্ধ। এটা কি আপনাকে আরও বেশি সাহস জোগায় কিনা?
মাশরাফি বিন মুর্তজা:
এটা তো ৩০ তারিখে বোঝা যাবে...তবে হ্যাঁ আমাকে অবশ্যই সাহস জোগায়। আমি তো খেলাধুলা করি। সেই জায়গা থেকে নড়াইলের সবাই আমাকে টিভিতে দেখেছে। পছন্দ করে। বাংলাদেশকে একটা সেক্টর থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছি, ক্রিকেট। এখন আরও বড় সেক্টর আসছে। ওই জায়গা থেকে...যারা পছন্দ করে তারা স্বতস্ফূর্ত আছে, পাশে আছে। বাকিটা দেখা যাক।



প্রশ্ন: ক্রিকেটারদের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে যোগাযোগ আছে কিনা?
মাশরাফি বিন মুর্তজা:
হ্যাঁ। কথা হয়েছে কয়েকজনের সঙ্গে। ওরা আগের থেকে আমাকে বেশ সমর্থন করছে। শেষ ওয়ানডের পর ড্রেসিং রুমে সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। ওয়ার্ম উইস করেছে।



রাইজিংবিডি/নড়াইল/২৭ ডিসেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ