ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বিদ্যুতের অপেক্ষায় ‘সাতছড়ি’

মো. মামুন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিদ্যুতের অপেক্ষায় ‘সাতছড়ি’

সাতছড়ি উদ্যানে গাছের মগডালে মুখপোড়া বানর

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ : উঁচু পাহাড়। পাহাড়ের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে খাল। পাহাড়ি অঞ্চলে এগুলোকে বলা হয়ে থাকে ছড়া। বৃষ্টি হলে পাহাড়ের উঁচু থেকে পানি নেমে এ ছড়া দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ রকম সাতটি বড় বড় ছড়া নিয়ে স্থানের নাম হয়েছে ‘সাতছড়ি’। এ স্থানটি দূর্গম পাহাড়।

সাতছড়ি উদ্যানটির অবস্থান ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়। এখানে নেই বিদ্যুৎ। যার কারণে এ উদ্যানটি এগোতে পারছে না। তারপরও প্রতিদিনই পর্যটক আসছে এখানে। যারাই আসছেন তারা সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান করে ফিরে যাচ্ছেন গন্তব্যে। তবে বিশেষ উৎসব দিনগুলোতে ঢল নামছে মানুষের।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু না থাকায় পর্যটকরা অবস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ থাকলে পর্যটন হোটেলগুলো চালু করা সম্ভব ছিল। যার ফলে রাতেও পর্যটকদের এসব হোটেলে খাবারসহ থাকার সুযোগ তৈরি হতো। সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ চালু করতে উদ্যান কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিদ্যুৎ পেতে নিয়মানুযায়ী টাকাও জমা দিয়েছে। তারপরও বিদ্যুৎ না পাওয়ায় হতাশ উদ্যান কর্তৃপক্ষ।

১৯১২ সালে জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার একর দূর্গম পাহাড়ি জমি নিয়ে গঠিত হয় রঘুনন্দন হিলস্ রিজার্ভ। এরপর প্রায় ৩৭৫০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠা পায় সাতছড়ি রেঞ্জ। সাতছড়ি ও তেলমাছড়া বিট নিয়ে এ রেঞ্জ পরিচালিত হয়ে আসছিল। এরইমধ্যে ২০০৫ সালে ৬০০ একর জমিতে উদ্যান করা হয়। এ উদ্যানের ভেতরে রয়েছে ৩০টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দর্শনার্থী বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন বিভাগ, প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি, ক্রেল’র পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। উদ্যানে দর্শনার্থীরা সহজেই সুপেয় পানি, টয়লেট সুবিধাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নিরাপত্তা সুবিধা নির্বিঘœ রাখার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। যাতে অনায়াসে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ দূর দূরান্ত থেকে সাতছড়িতে বেড়িয়ে যেতে পারেন।

তেলিয়াপাড়া রেল গেইট পেরুলেই চোখে পড়বে মন কেড়ে নেওয়া সবুজ চা বাগান। প্রবেশকালেই চোখে পড়বে সাতছড়ি জামে মসজিদ। কোটি টাকা ব্যয়ে দানবীর হাজী আব্দুল কাদের মোল্লা ২০১৪ সালে দর্শণীয় এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। নির্মাণ হচ্ছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, পর্যটক বসার ঘরসহ আরো অনেক কিছু। সবই করা হচ্ছে পর্যটক সমাগমের জন্য।

 

 

 



রাইজিংবিডি/হবিগঞ্জ/৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/মামুন/শাহ মতিন টিপু

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়