ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘বোলিংয়ে বিশেষত্ব বলতে অনুশীলন করা, নিজের কাজটা করা’

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২২:১৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২২
‘বোলিংয়ে বিশেষত্ব বলতে অনুশীলন করা, নিজের কাজটা করা’

হাসান মুরাদ। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তরুণ বাঁ হাতি স্পিনার। জাতীয় লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ শেষে চলমান ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ; সব জায়গাতেই বল হাতে উজ্জ্বল মুরাদ। হয়েছেন সব শেষ বিসিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তার ঘূর্ণি বোলিংয়ে বিপাকে পড়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের তারকা ব্যাটসম্যানরা।

বিসিএলের পর ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে খেলছেন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে। ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। টুর্নামেন্ট চলাকালিন এক সন্ধ্যায় টিম হোটেলে রাইজিংবিডির মুখোমুখি হন মুরাদ। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: এনসিএল, বিসিএলে টানা পারফর্ম করেছেন। উইকেট পাচ্ছেন। অনুভূতি কেমন?
মুরাদ:
অনুভূতি ভালো। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমার একটা ভালো অর্জনও ছিল। আসলে খুব ভালো লাগতেছে। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, সবাই ভালো খেলছে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ দুটোই ওয়ালটন থেকে। সব মিলিয়ে দলটা খুব ভাল ছিল। বেশ ব্যালেন্স টিম ছিল।

প্রশ্ন: আপনার বোলিংয়ের বিশেষ বিশেষত্ব কি?
মুরাদ:
তেমন কিছু না। বিশেষত্ব বলতে অনুশীলন করা। নিজের কাজটা করা। আমি যেটা সব সময়ই চেষ্টা করি। টুর্নামেন্টের আগে তৈরি হওয়া, অনুশীলন করা। আল্টিমেটলি টুর্নামেন্টের আগে তৈরি থাকলে টুর্নামেন্টে ভালো সময় কাটবে। কোন কিছু গ্যাপ না থাকলে পারফর্ম করতে সুবিধা হয়।

প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানসহ ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনে খেলেছেন। কখন মনে হয়েছে তার মতো হতে হবে?
মুরাদ:
না, আমি ওভাবে চিন্তাও করি না। উনি অনেক বড় প্লেয়ার। হয়তো ওনার মতো পারফর্ম করতে পারলে ভালো লাগবে। সবাই তো ওনার মতো পারফর্ম করতে চায়। ওনার মতো করে খেলতে সবাই চায়। ওনার জায়গায় আমি নিজেকে কখনো দেখি না। আমি আমার জায়গায় আমাকে দেখি। ওনার জায়গা নিজেকে কখনো তৈরি করিনি। ওভাবেই চিন্তা করি না।

প্রশ্ন: সাকিবের জায়গায় নিজেকে দেখতে চান কি না?
মুরাদ:
অবশ্যই একজন খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে অনেক উপরে নিয়া যাওয়ার ইচ্ছে তো আছে। হয়তো ওনার থেকে বড় প্লেয়ার আসতেও পারে, এটা প্রেডিক্ট করা যায় না। ওনার মতো খেলোয়াড় বাংলাদেশ পেয়েছে। ওনার থেকে ভালো করার ইচ্ছা তো আছে। তবে, ওনার জায়গা নিজেকে কখনো দেখি না।

প্রশ্ন: এক জায়গায় বল করে যাওয়া, বৈচিত্র্যতা; কোনটাকে বেশি প্রাধান্য দেন?
মুরাদ:
বোলার হিসেবে সব স্কিলই থাকা লাগবে। যে লেভেলে ক্রিকেট খেলতেছি, ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেট। এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ লেভেল। এখানে আপনাকে তৈরি থাকতে হবে। স্কিল ভালো থাকতে হবে। এখানে ভালো করতে পারলে ইন্টারন্যাশনালে ভালো করতে পারবেন। তো এখানে আপনার বোলিংয়ের জায়গাগুলো লাইন লেন্থ অ্যাকুরেসি এগুলো ভালো থাকলে পারফর্ম করা সহজ হবে।

প্রশ্ন: সাকিবের কাছ থেকে আলাদা কিছু শিখেছেন কী না?
মুরাদ:
একসঙ্গে খেলাটা ভাগ্যের ব্যাপার। ওনার সাথে খেলে ভালো লাগতেছে। অনেকের স্বপ্নও থাকে ওনার সাথে খেলা, ড্রেসিংরুম শেয়ার করা। ভালোই লাগতেছে ওনার সাথে খেলতে পেরে। ম্যাচে অনেক প্লান থাকে যা এক্সিকিউটি করতে হয়। ওদিকটা উনি সহোযোগিতা করেছেন যে ম্যাচে কিছু কিছু পরিকল্পনা ওনি দিয়েছেন। এক ম্যাচই খেলা হয়েছে। যতটুক পারছি সেটুকু সাহায্য নিয়েছি এবং ওনিও করেছেন।

প্রশ্ন: কোন লক্ষ্যে নিজেক গড়ে তুলছেন?
মুরাদ:
লক্ষ্য সব সময়ই থাকে। সব প্লেয়ারই একটা লক্ষ্যে আছে যে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করা। এখন হয়তো আমার হাতে ভালো পারফর্ম করার ওয়ে আছে। বাকিটা হচ্ছে নির্বাচক প্যানেলের হাতে। আমি ওটা নিয়া ভাবতেছি না। আমি এখন টুর্নামেন্ট খেলতেছি এবং এখানেই আমার ফোকাসটা বেশি। বাকি কি হবে সেটা দেখা যাবে সামনে।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়