ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মাস্কের ব্যবহারে চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ২৯ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ০৫:৫৪, ৩০ আগস্ট ২০২০
মাস্কের ব্যবহারে চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধে করণীয়

করোনা সংক্রমণ হ্রাস করতে ফেস মাস্ক পরা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফেস মাস্কের ব্যবহার যত বাড়ছে, মানুষের চোখের নতুন একটি সমস্যার কথাও তত বেশি শোনা যাচ্ছে। আর তা হলো, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

বিজ্ঞানীরা এই সমস্যাটিকে ‘মেড’ (মাস্ক-অ্যাসোসিয়েটেড ড্রাই আই অর্থাৎ মাস্ক সম্পর্কিত চোখের শুষ্কতা) নামে অভিহিত করেছেন বলে জানান, ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটির স্কুল অব অপ্টোমেট্রি অ্যান্ড ভিশন সায়েন্সের প্রফেসর লিন্ডন জোনস।

দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত এক লেখায় তিনি উল্লেখ করেন, যাদের আগে থেকেই চোখ শুষ্কতা বিষয়ক সমস্যা রয়েছে তাদের আরো বেশি খারাপ লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। চোখ শুষ্কতায় ভোগা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের জন্য ‘মেড’ আরো বেশি সমস্যার কারণ হয়ে ওঠেছে। দীর্ঘ সময় ধরে পড়তে গেলে কিংবা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করলে এই অস্বস্তি এবং চোখের নানা সমস্যায় পড়ছেন মাস্ক ব্যবহারকারীরা।

চোখের টিয়ার ফিল্মে ভারসাম্যহীনতা থাকলে চোখ শুকিয়ে যায়। প্রফেসর জোন্সের মতে, ফেস মাস্ক টিয়ার ফিল্মের ভারসাম্য প্রভাবিত করতে পারে। কেননা মুখ ও নাক থেকে যে বাতাস বের হয় তা মাস্কের কারণে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে না। সেই বাতাস ওপরের দিকে উঠে যায়। এ কারণে চোখের পৃষ্ঠের ওপর সে বাতাসের স্রোত প্রবাহিত হয়। ফলে চোখ আস্তে আস্তে শুষ্ক হয়ে ওঠতে পারে। বিশেষ করে মাস্ক ঢিলা হয়ে থাকলে মুখ ও নাক থেকে নির্গত বাতাস সহজেই ওপরের দিকে উঠে যায়। যারা চশমা ব্যবহার করে তাদের চশমায় বাষ্প জমে যায়।

তিনি বলেন, চোখ শুষ্ক হয়ে উঠলে এবং মুখমণ্ডলে বাষ্প জমলে তা থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে অনেকেই চোখ ও মুখ মুছে ফেলে। এতে চোখ, নাক ও মুখ দিয়ে করোনাভাইরাস ভেতরে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তবে মাস্ক ব্যবহারে চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধের বেশ কিছু উপায় রয়েছে। প্রফেসর জোন্স তার পরামর্শে বলেন, মাস্কের কারণে চোখে অস্বস্তি লাগলে প্রথমেই কোনো চক্ষু চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। দ্বিতীয়ত এটা নিশ্চিত করতে হবে যে মাস্কটি সঠিকভাবে পরা হয়েছে কিনা। বিশেষ করে চোখে চশমা বা সানগ্লাস পরার সময়। এমন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে যেটার মাধ্যমে নিশ্বাসের বাতাস ওপরের দিকে না উঠে নিচের দিক দিয়ে বের হবে। এতে চোখ শুষ্ক কম হবে এবং অস্বস্তিও কম লাগবে। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে যত কম থাকা যায় ততই ভালো। তাছাড়া ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহারও কম করতে হবে।

প্রশ্ন উঠতে পারে, ‘মেড’ সমস্যার কারণে তাহলে মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয় রয়েছে কিনা? এ প্রসঙ্গে প্রফেসর জোন্স বলেন, ‘অবশ্যই মাস্ক প্রয়োজনীয়। করোনা মহামারি প্রতিরোধের জন্য মাস্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।’

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়